যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সমস্ত ধরনের সামরিক সহায়তা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর জানায়।
কিছুদিন আগে, হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিবিসি জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা সিবিএস নিউজকে বলেছেন, “আমরা আমাদের সাহায্য স্থগিত করছি এবং এটি পর্যালোচনা করছি, যাতে এই সাহায্য সংঘাতের সমাধানে সহায়ক হতে পারে।”
রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ আক্রমণ শুরু করার তিন বছর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র সরবরাহকারী প্রধান দেশ ছিল। এর আগে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির একটি বিতর্কিত মন্তব্যের সমালোচনা করেছিলেন। জেলেনস্কি বলেছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের শেষ “খুব, খুব দূরে”।
রয়টার্সও জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত সপ্তাহে জেলেনস্কির সঙ্গে তার তীব্র বাকবিতণ্ডার পর ইউক্রেনে সমস্ত সামরিক সহায়তা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠায় মনোনিবেশ করছেন। আমাদের অংশীদারদেরও সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। আমরা আমাদের সহায়তা থামিয়ে দিচ্ছি এবং এটি সংঘাতের সমাধানে কীভাবে সহায়ক হতে পারে তা পর্যালোচনা করছি।”
এদিকে, মার্কিন সহায়তা বন্ধের বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অফিস থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ট্রাম্প জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর ইউক্রেন এবং রাশিয়ার বিষয়ে তার নীতি পরিবর্তন করে মস্কোর প্রতি আরও সহানুভূতিশীল অবস্থান গ্রহণ করেন। সর্বশেষ, গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কির সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের পর তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের বিষয়ে ওয়াশিংটনের সমর্থনের জন্য জেলেনস্কির অপর্যাপ্ত কৃতজ্ঞতার সমালোচনা করেন।