গত রোববার ইরানের উত্তরাঞ্চলে আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার মধ্যে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার পার্বত্য এলাকায় বিধ্বস্ত হয়, তাতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ও তার সফরসঙ্গীরা নিহত হন।তদন্তকারীরা এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অপরাধমূলক কার্যকলাপ বা নাশকতার কোনো প্রমাণ খুঁজে পাননি বলে জানিয়েছেন।
সামরিক বাহিনীর একটি প্রাথমিক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা বৃহস্পতিবার জানিয়েছিল, হেলিকপ্টারটি উঁচু পাহাড়ি এলাকায় আঘাত করার পর তাতে আগুন ধরে গিয়েছিল। কপ্টারের ধ্বংসাবশেষে ‘বুলেটের কোনো গর্ত বা চিহ্ন’ খুঁজে পাওয়া যায়নি। গত রবিবার (১৯ মে) রাইসির হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে পূর্বনির্ধারিত পথেই উড়ছিল এবং নির্ধারিত গতিপথ বদলায়নি। ওয়াচ টাওয়ার এবং ফ্লাইট ক্রুদের মধ্যে যোগাযোগের সময় সন্দেহজনক কোনো বিষয় পাওয়া যায়নি।বৃহস্পতিবার রাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত সশস্ত্র বাহিনীর কর্মীদের একটি বিবৃতি অনুসারে, প্রেসিডেন্টকে পরিবহনকারী হেলিকপ্টার ও সঙ্গে থাকা অপর দুই হেলিকপ্টারের মধ্যে চূড়ান্ত যোগাযোগ দুর্ঘটনার প্রায় দেড় মিনিট আগে রেকর্ড করা হয়েছিল।
ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে ইরান পাঁচদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করেছে। এখন অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। ২৮ জুন ভোটের মধ্য দিয়ে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হবে।