ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে আরও একটি মামলা গঠন করা হয়েছে, যার ফলে তাঁদের তিন বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। আদালত রায় ঘোষণার পর রাসেল ও শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
প্রথম আলো সূত্রে জানা গেছে, এই মামলায় বাদী মুজাহিদ হাসান অভিযোগ করেছেন যে, ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ইভ্যালির বিজ্ঞাপন দেখে দুটি মোটরসাইকেল কেনার জন্য তিনি টাকা পরিশোধ করেছিলেন। কিন্তু ইভ্যালি তাঁকে মোটরসাইকেল সরবরাহ করেনি। পরবর্তী সময়ে ইভ্যালি তাঁকে দুটি চেক দেয়, কিন্তু ব্যাংকে সেই চেকগুলি প্রত্যাখ্যাত হয়। এরপর মুজাহিদ হাসান আইনি নোটিশ পাঠালেও ইভ্যালি তাঁর পাওনা পরিশোধ করেনি, ফলে তিনি আদালতে নালিশি মামলা দায়ের করেন।
এর আগে, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রতারণার আরেকটি মামলায় রাসেল ও শামীমা নাসরিনকে দুই বছর কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী এবং চেয়ারম্যানকে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎ অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তবে পরবর্তীতে তাঁরা জামিনে মুক্ত হন।
এভাবে ইভ্যালির নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ ও মামলা চলমান রয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমের ওপর আরও প্রশ্ন তুলছে।