ক্রীড়া প্রতিবেদক: লামিনে ইয়ামালের জাদুতে উয়েফা নেশন্স লিগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়েছে স্পেন। জার্মানির এমএইচপি অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে ফ্রান্সকে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ৫-৪ গোলে হারিয়েছে তারা।
এই জয়ে বড় অবদান রাখেন ১৬ বছর বয়সী বিস্ময়কর উইঙ্গার লামিনে ইয়ামাল, যিনি জোড়া গোল করে ম্যাচের নায়ক বনে যান।
ম্যাচের শুরু থেকেই স্পেন নিজেদের গতি ও আক্রমণে ধার দেখায়। ২২তম মিনিটে নিকো উইলিয়ামসের গোলে এগিয়ে যায় দলটি। এর মাত্র তিন মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মিকেল মেরিনো।
বিরতির পর স্পেন আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। ৫৪ মিনিটে ইয়ামাল এবং পরের মিনিটে পেদ্রি গোল করে স্কোরলাইন দাঁড় করান ৪-০। এতেই কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে ফ্রান্স।
তবে হাল ছাড়েনি ফরাসিরা। ৫৯ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পের গোলে ব্যবধান কমে দাঁড়ায় ৪-১। কিন্তু ইয়ামাল এরপর ৬৭ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের হয়ে পঞ্চম গোলটি করে ব্যবধান পুনরায় বাড়িয়ে দেন। বিশ্ব ফুটবলে ইতোমধ্যেই আলোচনায় আসা এই তরুণ এখন ব্যালন ডি’অরের আলোচনাতেও জায়গা করে নিচ্ছেন।
৭৯ মিনিটে চেরকি ও ৮৪ মিনিটে ভিভিয়ানের আত্মঘাতি গোলে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় ফ্রান্স। এরপর যোগ করা সময়ে কোলো মুয়ানির গোল ফ্রান্সের আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত ব্যবধান কমানো ছাড়া কিছুই করতে পারেনি দিদিয়ের দেশঁর শিষ্যরা।
পরিসংখ্যানেও ফ্রান্স পিছিয়ে ছিল না। ম্যাচে তারা ৫৭ শতাংশ বল দখলে রাখে এবং গোলমুখে নেয় ২৪টি শট, যার মধ্যে ৯টি ছিল লক্ষ্যে। তুলনায় স্পেন নেয় ১৬টি শট, যার ৮টি লক্ষ্যে এবং ৫টিই রূপ নেয় গোলে। ম্যাচে আধিপত্য থাকলেও রক্ষণভাগের দুর্বলতা ও গোলকিপারের কিছু ভুল ফ্রান্সের বিদায়ে বড় ভূমিকা রাখে।
এই জয়ের ফলে স্পেন তৃতীয়বারের মতো নেশন্স লিগের ফাইনালে উঠলো। আগামী ৯ জুন ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ প্রথম সেমিফাইনালে জার্মানিকে পরাজিত করে ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করা পর্তুগাল। স্পেন-পর্তুগাল ফাইনাল তাই পরিণত হতে যাচ্ছে ইউরোপের দুই পরাশক্তির মহারণে।