ইরানের সেনাবাহিনী নতুনভাবে এক হাজার উন্নত প্রযুক্তির ড্রোন যুক্ত করে তাদের যুদ্ধক্ষমতা বাড়িয়েছে। এই ড্রোনগুলো কৌশলগত মিশন এবং দূরপাল্লার অপারেশনের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ইরানের সেনাবাহিনীর যুদ্ধ ইউনিটে ড্রোনগুলো অন্তর্ভুক্ত করার আনুষ্ঠানিক আয়োজন হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন সেনা কমান্ডার মেজর জেনারেল আবদোলরহিম মুসাভি এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদেহ।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ড্রোনের বৈশিষ্ট্য
ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম নিউজ জানায়, এসব ড্রোন দূরপাল্লার মিশনে অনন্য বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। প্রতিটি ড্রোনের সক্ষমতা ২,০০০ কিলোমিটারের বেশি এবং উচ্চ ধ্বংসাত্মক শক্তি রয়েছে।
ড্রোনগুলোর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে:
• স্টিলথ ক্ষমতা: কম রাডার ক্রস-সেকশন (RCS), যা প্রতিরক্ষামূলক স্তরগুলোকে বাইপাস করতে সহায়তা করে।
• স্বায়ত্তশাসিত ফ্লাইট: দীর্ঘ সময় টেকসই ফ্লাইট পরিচালনার সক্ষমতা।
• পুনরুদ্ধার ও পর্যবেক্ষণ: সীমান্ত নজরদারি এবং দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসে কার্যকর।
ড্রোনগুলো কৌশলগত এবং বিশেষ মিশনের জন্য ব্যবহৃত হবে। এগুলোর অন্তর্ভুক্তি ইরানি সেনাবাহিনীর সীমান্ত পর্যবেক্ষণ এবং দূরপাল্লার আক্রমণ সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে।
গত বছর ইরানি নৌবাহিনীতেও বেশ কিছু চালকবিহীন আকাশযান যুক্ত করা হয়েছিল, যা সামরিক অভিযানে ইরানের সক্ষমতাকে বাড়িয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের এই উদ্যোগ তাদের আঞ্চলিক প্রভাব এবং সামরিক সক্ষমতার একটি নতুন মাত্রা প্রতিফলিত করে।
আরইউএস//বিএন