ইরানের রাজধানী তেহরানে গুপ্ত হামলায় হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর এক শীর্ষ নেতা নিহত হওয়া পর ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলার আশঙ্কায় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বুধবার (৩১ জুলাই) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহ কমান্ডার এবং ইরানের তেহরানে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ ‘গুপ্তহত্যা’-র শিকার হওয়ার পর ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
এ দিকে, হানিয়াহ নিহতের ঘটনা নিয়ে এক বিবৃতিতে ইরান বলেছে, তেহরানে গুপ্তহত্যার শিকার হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে কঠোর পন্থায়, যা হবে বেদনা উদ্রেককারী। ইরান এবং প্রতিরোধ বাহিনী এই অপরাধের জবাব দেবেই।
এ ছাড়াও, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের এক জ্যেষ্ঠ নেতা সামি আবু জুহরি এ বিষয়ে বলেছেন, দখলদার ইসরায়েল কর্তৃক আমাদের ভ্রাতা হানিয়ার এই হত্যাকাণ্ড বিরাজমান সংঘাতকে আরও বাড়াবে। তারা হামাস ও আমাদের জনগণের ইচ্ছাশক্তি ভেঙে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এ সব কাজ করছে। কিন্তু আমরা হলপ করে বলতে চাই যে, এগুলো করেও তারা তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সমর্থ হবে না।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। দশ মাস ধরে অব্যাহত থাকা এ যুদ্ধে ইতি টানতে দীর্ঘদিন ধরেই দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছেন মধ্যস্থতাকারীরা। সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধবিরতির বিষয়টিতে অনেকটাই অগ্রসর হলেও হানিয়ার নিহত হওয়ার ঘটনায় নতুন করে সংকট তৈরি হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।