মহান আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে ২টি ঈদ দান করেছেন। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। মুসলিমদের ঈদ ও উৎসব অন্যান্য জাতি-গোষ্ঠীর উৎসব থেকে ব্যতিক্রম এবং অনন্য বৈশিষ্ট্যের অধিকারী।
এবার বুধবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদের দিনের প্রধান আমল নামাজ। এই দিনটি শুরু হবে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে।
অন্যান্য ফরয নামাজের মত ঈদের নামাজও এক বা দুই রাকাত ছুটে যেতে পারে। তখন করণীয় কী? ছুটে যাওয়া নামাজ কীভাবে আদায় করবেন?
কেউ যদি প্রথম রাকাতে ইমামের কেরাত পড়াকালীন নামাজে শরিক হন তাহলে প্রথমে তিনি তাকবিরে তাহরিমা এবং অতিরিক্ত তিনটি তাকবির বলে ইমামের অনুসরণ করবেন।
কেউ ইমামকে রুকুতে পেলেন। এখন যদি দাঁড়িয়ে অতিরিক্ত তাকবীরগুলো বলেও ইমামকে রুকুতে ধরতে পারবেন বলে মনে হয়, তাহলে তাই করবেন।
আর যদি দাঁড়িয়ে অতিরিক্ত তাকবির বলে ইমামকে রুকুতে পাওয়া যাবে না বলে মনে হয়, তাহলে শুধু তাকবিরে তাহরিমা বলে রুকুতে চলে যাবেন। রুকুতে গিয়ে হাত না উঠিয়ে অতিরিক্ত তাকবিরগুলো বলবেন। এরপর সময় থাকলে রুকুর তাসবিহ আদায় করবেন।
কেউ যদি দ্বিতীয় রাকাতে ইমামের সাথে শরিক হন, তাহলে ইমাম সালাম ফেরানোর পর দাঁড়িয়ে প্রথমে সূরা-কেরাত পড়বেন এবং রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তাকবির বলবেন। অর্থাৎ ছুটে যাওয়া প্রথম রাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় রাকাতের মতো রুকুর আগে অতিরিক্ত তাকবির বলবেন।
কেউ যদি দ্বিতীয় রাকাতের রুকুর পর বা তাশাহহুদের পর জামাতে শরীক হন, তার করণীয় কী? এমন ব্যক্তি ইমামের সালাম ফেরানোর পর দাঁড়িয়ে সূরা কেরাতের আগেই অতিরিক্ত তাকবিরগুলো বলবেন। আর দ্বিতীয় রাকাতের কেরাতের পর অতিরিক্ত তাকবির বলে নামাজ শেষ করবেন।
ঈদের নামাজের রাকাত ছুটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ও যথেষ্ট বিব্রতকর। এতে করে ব্যক্তি নিজে মনে কষ্ট পান। সারা মাসের ইবাদত কবুল হয়েছে কি না এমন সংশয়েও ভোগেন কেউ কেউ। যদিও এই নামাজের রাকাত ছুটে যাওয়ার সাথে সারা মাসের ইবাদত কবুল না হওয়ার সম্পর্ক নেই। আল্লাহ তাআ’লা সব রোজাদারকে রহমত মাগফেরাত ও নাজাতের সৌরভে সিক্ত করুন।