যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সামাজিক সংগঠন উন্নত মম শির কতৃর্ক আয়োজিত বিজ্ঞান মেলায় চমক দেখিয়েছে যবিপ্রবি স্কুল এন্ড কলেজ।
এ মেলায় প্রজেক্ট প্রেজেন্টেশনে যবিপ্রবি স্কুল এন্ড কলেজ ও যশোর জেলা স্কুল যৌথভাবে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। এছাড়াও দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানও অর্জন করেছে যবিপ্রবি স্কুল এন্ড কলেজটি।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) যবিপ্রবি স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এ বিজ্ঞান মেলায় ৩ টি ভিন্ন ভিন্ন ইভেন্টে মোট ৭ টি পুরষ্কার জিতে নেয় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।
প্রজেক্ট প্রেজেন্টেশনে প্রথম স্থান অর্জন করা প্রজেক্টটি হলো “প্রডিউসিং এনার্জি ফ্রম ওয়েস্ট মেটারিয়াল” প্রজেক্টটি। এতে প্লাস্টিক জাতীয় বর্জ্য পদার্থ পুড়িয়ে সেখান থেকে বৈদ্যুতিক শক্তি উৎপাদন করে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ এবং পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখা যাবে বলে ধারণা দেন শিক্ষার্থীরা।
দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে “এয়ার এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট” প্রজেক্টটি। এর মাধ্যমে কল-কারখানা থেকে নির্গত গ্যাস ব্যবহার উপযোগী এসিডে রূপান্তরিত করে বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করার কথা বলেন শিক্ষার্থীরা।
তৃতীয় স্থান অর্জন করে “এফোর্ডেবল এনার্জি প্রোডাকশন” (সাশ্রয়ী মূল্যের জ্বালানি তৈরি) প্রজেক্টটি। এতে জ্বালানি তেল, পেট্রোল এবং সমপরিমাণ পানি ব্যবহার করে কম খরচে LPG গ্যাস উৎপন্ন করার প্রক্রিয়ায় আলোকপাত করা হয়।
৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি গ্রুপের গেম প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অর্জন করেছে যবিপ্রবি স্কুল এন্ড কলেজের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আজলাল আল মাহিলী ও ২য় স্থান অর্জন করেছে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী তসলিমা খাতুন। ৯ম থেকে ১০ম শ্রেণি গ্রুপের গেম প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অর্জন করেছে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাহারা খাতুন।৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি গ্রুপের কুইজ প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অর্জন করে একই প্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আজলাল আল মাহিলী।
এ বিষয়ে যবিপ্রবি স্কুল এন্ড কলেজের এক শিক্ষক বলেন, অধ্যক্ষ ড. মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে যবিপ্রবি স্কুল এন্ড কলেজর সাফল্য আকাশচুম্বী। একটি ভাঙা বেড়ার স্কুল থেকে একটি পরিপূর্ণ ডিজিটাল স্কুলে রুপান্তরিত করেছেন। বৃদ্ধি পেয়েছে পড়াশোনার মান যা বীগত সালের এসএসসির ফলাফল দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যায়। এছাড়াও যশোরে ৪৬ তম বিজ্ঞান মেলায় যবিপ্রবি স্কুল এন্ড কলেজ দ্বিতীয় এবং গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক সংগঠন টিম উন্নত মম শিরের সায়েন্স কোয়ান্টাম ফেস্টে এই স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী প্রজেক্ট প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।
এ বিষয়ে যবিপ্রবি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও যবিপ্রবির একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, আমি পড়াশোনার গুণগত মান বৃদ্ধি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও ডিজিটাল স্কুল হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি । শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমুখী করতে বিভিন্ন সভা, সেমিনার, বিভিন্ন সায়েন্স ফেয়ারে অংশগ্রহণসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি যার ফলে আমাদের স্কুল যশোর জেলায় একটি জায়গা করে নিয়েছে। যবিপ্রবি যেমন সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করে নিয়েছে, আমা আশা করি আমাদের স্কুলও আগামীতে যবিপ্রবির মত দেশের মধ্যে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হবে। তিনি এই স্কুল এন্ড কলেজকে দেশের মধ্যে একটি মডেল স্কুল এন্ড কলেজে হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী এ বিজ্ঞান মেলায় যশোরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।