শেকৃবি প্রতিনিধি
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুল লতিফকে উপহাস করে ক্ষোভ প্রকাশ করে। র্যাগিং এ বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেয় প্রতিপন্ন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মধ্যরাতে র্যাগিং বিরোধী অভিযান পরিচালনা করায় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির উপাচার্যকে আমেরিকা সরকারের কাছে নোবেল পুরস্কার আশা করছি বলে মন্তব্য করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত শুক্রবার রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২তম ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থী ৮৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের ডাইনিংয়ে র্যাগিং শুরু করেন।অভিযুক্তরা ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের অনুসারী।
উল্লেখ্য,এর আগে গত ৫ আগস্টে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিসমিল্লাহ বলে হল দখলের একটি ভাইরাল ভিডিওর মাধ্যমে তিনি আলোচনায় আসেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির তার ফেসবুক একাউন্টে লিখেন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এই রকম ভিসি কি আর আপনারা পাবেন,স্যারকে ডাক দেওয়ার সাথে সাথে চলে এসেছেন,শুধু তাই নয় নিজে ছবি তুলেছেন। অথচ আওয়ামী দোসরদের বিচারে স্যারের বাসার সামনে রাত ১১ টায় গেলে স্যার নিচে নামতে পারেন না,অনেক ক্লান্ত। স্যারের প্রিয় মানুষদের ডাকে সাড়া দিয়ে রাত ২ টায় প্রভোস্ট বাদে কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে আসার জন্য আমেরিকা সরকারের কাছে নোবেল পুরস্কার আশা করছি।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরকে সাম্প্রতিক র্যাগিং অভিযান বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে বলেন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত র্যাগিং নাই। সুতরাং র্যাগিং এর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো কোন প্রশ্নই আসে না। র্যাগিং শব্দটি যারা বলে তারা হচ্ছে একটি কুচক্রী মহল। র্যাগিং শব্দটি একটি তোকমা একটি প্রোপাগান্ডা শব্দ। অভিযুক্তরা তার অনুসারী কিনা সে প্রসঙ্গে বলেন,বিষয়টা এরকম না। যাদেরকে ধরেছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, তারা অনেকেই আমাকে চেনে আমিও তাদেরকে চিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে কে কটাক্ষ করে স্ট্যাটাস দেওয়া প্রসঙ্গে আলমগীর কবির বলেন, আমি ভিসি স্যার কে কটাক্ষ করবো কেন? ভিসি স্যার যে কাজটা করেছে এজন্য আমি তাকে ধন্যবাদ দিয়েছি। এবং এটা আশা করেছি যে স্যার এরকম কাজ করলে ভবিষ্যতে পুরস্কার পাবে। তবে আমার এখানে কথা আছে। এই কাজ যেন স্যার প্রত্যেকের ক্ষেত্রে করে। কোন নির্দিষ্ট গোষ্ঠী ব্যক্তি বা এলাকাপ্রীতি না করে।
নোবেল পুরস্কার পাওয়ার ব্যাপারটা কতটা বাস্তবসম্মত কিনা তার উত্তরে বলেন,এটা বাস্তবসম্মত । কারণ ভিসি স্যার আমার দুইবার গ্রুপ শিক্ষক ছিলেন। উনি অত্যন্ত জ্ঞানী গুণী লোক। বাংলাদেশে কীটতত্ত্ববিদদের মধ্যে উনি একজন নামকরা। এবং নোবেল পুরস্কার পাওয়ার মতো উনি একজন যোগ্যতা সম্পন্ন লোক। আর স্যার যদি সকল শিক্ষার্থীদের মন জয় করতে পারে, তাহলে এই শিক্ষার্থীরাই একদিন মানববন্ধন করবে যে আমাদের শিক্ষককে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হোক।