একুশে বইমেলা ২০২৫-এ ১২টি প্রকাশনীকে প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে অতীতে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে নতুনভাবে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে প্যাভিলিয়নের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বইমেলা পরিচালনা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ও সূচিপত্র প্রকাশনীর প্রধান নির্বাহী সাঈদ বারী।
তিনি বলেন, কিছু প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অতীতে মেলায় বিশেষ সুবিধা নিয়েছিল। এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর বরাদ্দ বাতিল করার দাবি জানানো হয়েছিল। সেই অনুযায়ী, এবার ‘জার্নিম্যান’ প্রকাশনীসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। তাদের ৩ বা ৪ ইউনিট স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বাংলা একাডেমি সূত্রে জানা যায়, অনিন্দ্য প্রকাশনী, অন্বেষা প্রকাশনী, কাকলী প্রকাশনী, পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স, পুঁথিনিলয়, মিজান পাবলিশার্স এবং সময় প্রকাশন যেসব প্রতিষ্ঠান ২৪x২৪ ফুট প্যাভিলিয়ন পেত, তারা এবার ৪ ইউনিট করে স্টল পেয়েছে। তাম্রলিপি ৩ ইউনিট পেয়েছে। অনুপম, আগামী এবং অন্য প্রকাশও ছোট আকারের (২০x২০ ফুট) প্যাভিলিয়ন পেয়েছে।
নালন্দা ও পার্ল পাবলিকেশন্সকে দেওয়া হয়েছে ৪ ইউনিট করে স্টল। চারুলিপি প্রকাশন, জিনিয়াস পাবলিকেশন্স, বিশ্ব সাহিত্য ভবন এবং শব্দশৈলীকে দেওয়া হয়েছে ৩ ইউনিট করে।
জার্নিম্যান বুকসকে এই বছর কোনও স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আগামী প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী ওসমান গনি। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত দুঃখজনক ও হতাশাজনক। বাংলা একাডেমির এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হয়নি। তিনি অভিযোগ করেন, বইয়ের মান নয় বরং ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বার্থ বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব সরকার আমিন বলেন, ৩১ সদস্যের কমিটি, যেখানে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং প্রকাশক প্রতিনিধিরা আছেন, তারা সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।