সমাজব্যবস্থা ও ধর্মের বিরুদ্ধে লেখালেখি করায় সৃষ্ট বিতর্কের জেরে নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত হন আলোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। ইউরোপ, আমেরিকায় বেশ কয়েক বছর কাটানোর পর তিনি ভারতে বসবাসের অনুমতি পান ২০০৫ সালে। এরপর থেকে দিল্লিতে অবস্থান করলেও নানা সময়েই বাংলাদেশের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে।
সম্প্রতি ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানে চলতি মাসের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আবারও সরব হয়েছেন তিনি।
শনিবার (৩১ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে নিজের ব্যক্তিগত দেয়ালে এ নিয়ে তসলিমা লেখেন, “এবারের ঢাকার গণঅভ্যুত্থান স্বতস্ফুর্ত কোনো ঘটনা নয়।” ইসলামি দলগুলোর নীলনকশামাফিক ছাত্ররা এ বিপ্লব ঘটিয়েছে বলেও পোস্টটিতে মন্তব্য করেন এই লেখিকা।
পোস্টটিতে তসলিমা আরও বলেন:
“দুর্নীতি কে না করে এই দেশে? কে না করবে? নতুন এনজিও সরকার করবে না? দেশ যেমন ছিল, তেমনই আছে। একে আনাড়ি ও মাদ্রাসার ছাত্রদের দিয়ে বদলানোর কিছু নেই।”
এর আগে শুক্রবার (৩০ আগস্ট) মধ্যরাতে ভিন্ন আরেকটি পোস্টে দেশে কি ভবিষ্যতে ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা চালু হবে নাকি গণতন্ত্র— তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এই বিতর্কিত লেখিকা। যা নিয়ে সৃষ্টি হতে পারে নতুন সমালোচনার।
আরএস