পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের গুম, খুন, দুর্নীতি এবং জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিতে এবার বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির দেশব্যাপী গণমিছিলের ডাক দিয়েছে।
সংগঠনটি বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) জুমার নামাজের পর দেশের প্রতিটি জেলা ও মহানগরে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে। সংগঠনটি সাধারণ জনগণ ও সমর্থকদের এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগে সংগঠনটি ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেট থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি গণমিছিল আয়োজনের ঘোষণা দেয়, যা শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বাদ জুমা শুরু হবে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, বর্তমান সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন, দমন-পীড়ন এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে বিরোধী মত দমনের চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতির প্রতিবাদ জানিয়ে তারা রাজপথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ছাত্রশিবিরের নেতারা বলেন, জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায় ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করবে। তবে সরকারের দমনমূলক নীতির কারণে তাদের এই কর্মসূচিতে বাধা আসতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
সংগঠনটি দাবি করেছে যে, তাদের এই আন্দোলন কোনো গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষার জন্য নয়, বরং দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য।
সরকারের তরফ থেকে এই গণমিছিল সম্পর্কে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, আসন্ন জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলো তাদের কার্যক্রম জোরদার করছে, যার অংশ হিসেবে ছাত্রশিবিরের এই গণমিছিলও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
আরইউএস