দিনাজপুর সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক এবং তার সহযোগী আপেল ওসি পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। পরে এলাকাবাসী তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে মামলা করেন।
শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) আব্দুর রাজ্জাককে ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে দিনাজপুর সদর উপজেলার শেখপুরা ইউনিয়নের ভাটিনা ঠাকুরবাড়ি গ্রামে এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়েন তিনি।
আব্দুর রাজ্জাক দিনাজপুর সদর উপজেলার নহনা গ্রামের বাসিন্দা রুস্তম আলীর ছেলে এবং তার সহযোগী আপেল একই এলাকার শাহাদতের ছেলে। ভাটিনা ঠাকুরবাড়ি এলাকার চৈতু বর্মণ তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যার হুমকির অভিযোগে মামলা করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চৈতু বর্মণের ছেলে ইমন চন্দ্র বর্মণ একটি মেয়েকে বিয়ে করে টাঙ্গাইলে অবস্থান করছিলেন। এই ঘটনার সূত্র ধরে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) আব্দুর রাজ্জাক ও তার সহযোগীরা নিজেকে থানার ওসি পরিচয় দিয়ে চৈতু বর্মণের বাড়িতে যান। তাকে থানায় নেওয়ার নাম করে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে টাঙ্গাইলে নিয়ে যান।
টাঙ্গাইলে গিয়ে চৈতু ও তার ছেলেকে শারীরিক নির্যাতন করে এবং এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তারা। পরে চৈতু টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে আবার চৈতুকে চাঁদার টাকা দিতে বাধ্য করতে এলাকায় ডেকে আনা হয়। তখন এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তারা এগিয়ে আসেন এবং আব্দুর রাজ্জাক ও তার সহযোগীকে আটক করে গণপিটুনি দেন। পরে ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি মতিউর রহমান জানান, আব্দুর রাজ্জাক ও আপেলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং তারা থানায় আটক রয়েছেন।
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটি আব্দুর রাজ্জাককে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তার পদ থেকে বহিষ্কার করেছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির তার বহিষ্কার অনুমোদন করেছেন। নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরএ//বিএন