কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গুলিবিদ্ধ হয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সাদিদুল হুদার বাবা হাবিবুল হুদা চৌধুরী (৬০) নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার রাতে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সিকদারপাড়ায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাকের লোকজন এই হামলা চালায়।
নিহত হাবিবুল হুদা চৌধুরী ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সিকদারপাড়ার শামসুল হুদা চৌধুরীর ছেলে। তাঁর ছেলে সাদিদুল হুদা ঈদগাঁও উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ছিলেন। নিহতের ছেলে অ্যাডভোকেট আবিদুল হুদা ও সাদিদুল হুদা জানান, ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে তাদের পরিবারের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জেরে শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজ্জাকের লোকজন হাবিবুল হুদার বাড়িতে আক্রমণ চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে।
হামলার সময় হাবিবুল হুদা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ছাড়া বাড়ির আরও দুই নারী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। তারা বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহতের ছেলে সাদিদুল হুদা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক সম্প্রতি জেল থেকে মুক্তি পেয়ে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
অন্যদিকে, প্রতিপক্ষের রিদওয়ানুল হক জানান, হাবিবুল হুদার পরিবারের সঙ্গে তাদের কেনা একটি জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার দুপুরে ঈদগাঁও থানা পুলিশের উপস্থিতিতে জমিটি দখলের চেষ্টা করা হলে সাবেক চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক বাধা দেন। এ সময় তাকে মারধর করা হয় এবং পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে হাবিবুল হুদা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান বলে তিনি জানান।
এদিকে, সাদিদুল হুদার বাবাকে হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার মধ্যরাতের পর স্থানীয় ছাত্ররা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। তারা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান।
ঈদগাঁও থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, জমি বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় হাবিবুল হুদা নিহত হয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাকের লোকজনকে হামলার সঙ্গে জড়িত বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।