রাজন হোসেন তৌফিকুল মৌলভীবাজারঃ
আসন্ন কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বাজার ধরতে মৌলভীবাজারের গরুর খামারিরা ব্যাপকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ভারতীয় গরু দেশের বাজারে না আসলে এবারের ভালো দামে গরু বিক্রির আশা করছেন তারা। জেলা প্রাণিসম্পদ দফতর বলছে, খামারিরা যাতে নায্য দাম পায় সেদিকে তাদের নজরদারি রয়েছে।
কয়েকদিন পরই ঈদুল আযহা। প্রতিটি খামারে এখন পশুর বাড়তি পরিচর্যায় ব্যস্ত খামারিরা। আসন্ন কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে পশু।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি বছরের মতো এ বছরও বিভিন্ন জাতের গরু-মহিষ ও ছাগলের সমারোহ মৌলভীবাজার জেলার সবকটি খামারগুলোতে। চাহিদার কথা ভেবে দেশি ও বিদেশি জাতের ছোট-বড় গরু রয়েছে এসব খামারে। ছাগল (খাসি) লালন-পালনের পাশাপাশি কোনো কোনো খামারে দুম্বাও রয়েছে। তবে দাম এক লাখ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা দামের গরু পাওয়া যাচ্ছে খামারগুলোতে।
এরমধ্যেই অনেক ক্রেতা খামারে এসে আগেভাগে কিনে নিচ্ছেন তাদের পছন্দের গরু। কেউ বা আবার অনলাইনের মাধ্যমে দরদাম করছেন খামারিদের সাথে।
সদর উপজেলার ছিকরাইল মালিক এগ্রো খামারের তত্ত্বাবধায়ক ভানু লাল জানান ,নিয়ম মতো প্রতিটি গরুকে হাওড়ের টাটকা সবুজ ঘাসসহ অন্যান্য দানাদার খাবার দেয়া হচ্ছে। একই সাথে পশুর যত্নে কোনো ছাড় দেয়া হচ্ছে না। তাদের খামারে দেশি প্রজাতির পাশাপাশি শাহীওয়াল, ফিজিয়ান, ব্রামা জাতের দুইশতাধিক গরু রয়েছে।
এখানে এক লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকার পশু পাওয়া যাচ্ছে। হোসাইন এগ্রো খামারের মালিক সামি জানান, তার খামারে দেশিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গরু তিনি সংগ্রহ করেছেন বিক্রির জন্য। তবে ভিন্নধমী চারটি গরু ওজনে সাতশো থেকে প্রায় নয়শো কেজির এ খামারে রয়েছে। তিনি জানালেন, অনলাইনে মাধ্যমে দরদাম হচ্ছে। তার ভ্রামা গরুটি এরইমধ্যে সাড়ে ৩ লাখা টাকা দাম উঠেছে। ৪ লাখ টাকা হলে বিক্রি করবেন। তার মতো অনেক খামারের মালিকের আশা ভারতীয় গরু দেশের বাজারে না ঢুকলে তারা ভালো ব্যবসা করবেন।
এদিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীনুল হক জানান, ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে প্রতিটি খামারে তারা বাড়তি নজরদারি করছেন। যাতে খামারিরা গরুর খাবারে কোনো ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করতে না পারে।
জেলা প্রাণিসম্পদ দফতর কর্মকর্তা ডা. আশরাফুল আলম খান জানান, ভারতীয় গরু কোনভাবে যাতে প্রবেশ করতে না পারে, এজন্য নেয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। জেলা প্রাণিসম্পদ দফতর দেয়া তথ্যমতে, এ বছর জেলায় কোরবানির ঈদের জন্য প্রায় ৮০ হাজার ৬ শো ৩৭টি গবাদিপশু লালন-পালন করে প্রস্তুত করা হয়েছে।