১.
তুমুল ঝড়ের পরই
প্রশান্তির বৃষ্টি
ডেকে আনে চতুর
সত্তার সৃষ্টি!
২.
বিশ্বের আছে যত
সবুজ ভূগোল
গিলে ফেলে
যত আছে যন্ত্র পাগল!
৩.
রাত হলেই আসে শুধু
জোনাকির জোয়ার
খুলে যায় অমরার
উর্বর দুয়ার!
৪.
দিগন্তে যত বাড়ে
ঈগলের ঝাঁক;
ঘুরে যায় ঘুরে যায়
ইতিহাসের বাঁক!
৫.
অমোঘ স্বপ্নের তলে
বুনে রাখা বীজ
একদিন হয়ে উঠবে
কালের হাফিজ!
৬.
কতদিন হলো আমাদের
হয় না দেখা;
তোমার শেরে কি
শুধুই মিথ্যে লেখা?
৭.
উপমার অভিযানে
হয়েছে যে ব্যর্থ,
কলমের কালি তার
কতই না দ্ব্যর্থ!
৮.
স্মৃতির পাঁজরে কেন
এত বিষাদের ঘাম?
কবির সব কবিতার
থাকে না তো নাম!
৯.
সময় গড়ালে কত
পুরোনো ছাদ
হয়ে যায় একেবারে
অমাবস্যার চাঁদ!
১০.
বেদনার পাহাড়ে
যদি লাগে আগুন;
চুপ থেকো শুধু—
আমি হবো ফাগুন!
১১.
তোমার নামে যদি লিখি
ছ’টা গান;
খুলে দিও তোমার
কালো কার্ডিগান!
১২.
খনার মতো তুমি
বোলো না বচন!
তোমার চোখের কাজলই
হিস্টোরিক্যাল লেসন!
১৩.
দূরের সবকিছুতে
আছে কামনার ঘ্রাণ—
কাছে গেলেই হয়ে যায়
সব আশা ম্লান!
১৪.
মলিন আশা সব
যেন শারদীয় মেঘ—
বয়ে বেড়ায় বর্ষার
ভেজা ভেজা খেদ!
১৫.
যদি সময়ের তোড়ে ভাঙে
অপেক্ষার বাঁধ;
তবে করে নিও
আরেকটু ধৈর্যের আবাদ!
১৬.
শূন্যতাই সবকিছুর
শেষ পরিণাম;
শূন্যতায় গড়ে ওঠে
কবির সুনাম!
১৭.
জীবনের বুকে আছে
যত প্রশ্নের দাগ—
কেড়ে নেয় সহসা
আবেগের ভূভাগ!
১৮.
আদি মায়ার জালে
জড়ানো হৃদয়
যত দিন যায়,
তত বদলায়!
১৯.
সুখের খোঁজে এখন
মনও নিখোঁজ!
বেহেশতের সন্ধানে
মিলেছে দোজখ!
২০.
যদি ছিঁড়ে ফেলো
আমার এই কিতাব—
আমার নামই জেনো
হবে সবুজ খেতাব!
২১.
শেষ বয়সে যদি
হতে চাও আমার মতো;
লিখে যাও পাতা ভরে
যত আছে ক্ষত!
২২.
বেদনা নাকি এখন
কাব্যের ধূলো!
হেসো না— হারাবে
তোমাদের মূলও!
২৩.
এ দুনিয়ায় হতে চায়
সকলে কাবিল;
অথচ হৃদয়ে গড়ে তোলে
টাওয়ার অব বাবিল!