মাঘ মাসের ১০ দিন পার হয়ে গেলেও দেশের অধিকাংশ এলাকায় শীতের স্বাভাবিক আমেজ পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েকটি অঞ্চলে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলেও শীতের প্রকৃত অনুভূতি অনুপস্থিত।রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা কম মিলছে।
তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, আজ দেশের দুটি উত্তরবঙ্গের জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামীকাল শনিবার থেকে কুয়াশার ঘনত্ব কিছুটা কমে আসবে এবং তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
উত্তরাঞ্চলের কিছু অঞ্চলে হালকা শৈত্যপ্রবাহ চলছে, কিন্তু দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে তুলনামূলক উষ্ণ আবহাওয়া রয়েছে। আজ শুক্রবার, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে, যেখানে তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহী বিভাগের অধিকাংশ অঞ্চলে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির আশপাশে রয়েছে, তবে রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।
ঢাকায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কক্সবাজারের টেকনাফে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের অনুযায়ী, যদি কোনো অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে, তা হলে সেখানকার শীতকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৪ দশমিক ১ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে গণ্য হয়। যদি তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায়, তা হলে এটি অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে চিহ্নিত হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানিয়েছেন, আগামীকাল শনিবার থেকে তাপমাত্রা কমে শীতের প্রকোপ বাড়তে পারে, এবং এই পরিস্থিতি আগামী চার দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকতে পারে। তবে ২৮ জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রা আবার বাড়তে শুরু করবে।
এছাড়া, কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগে সাময়িক সমস্যা হতে পারে। সিরাজগঞ্জ ও পঞ্চগড়ে শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাসও অব্যাহত থাকতে পারে।