আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সম্প্রতি কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া পর্যটক হামলা নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে উপমহাদেশে। পাকিস্তানের শীর্ষ গণমাধ্যমগুলো—পাকিস্তান টেলিভিশন, জিও নিউজ এবং পাকিস্তান অবজার্ভার—চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে, এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’।
একটি ফাঁস হওয়া গোপন নথির উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে অমুসলিম পর্যটকদের ওপর এই হামলা পরিকল্পিতভাবে পরিচালনা করেছে ভারত নিজেই, পরে কৌশলে এর দায় পাকিস্তানের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করা হয় মাত্র এক থেকে দেড় দিনের মধ্যে।
পাকিস্তান সরকার এই ঘটনাকে আন্তর্জাতিক মহলে নিজেদের কোণঠাসা করার ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো সরাসরি প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। তবুও হামলার পর থেকে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তজুড়ে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে, মাঝে মাঝে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটছে।
এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান সেনাবাহিনী তিল্লা ময়দানে একটি বড় সামরিক মহড়া চালায়। সেখানে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির একটি ট্যাংকের ওপর দাঁড়িয়ে বলেন, “যে কোনো আগ্রাসন মোকাবেলায় পাকিস্তান প্রস্তুত, যদিও আমরা আঞ্চলিক শান্তির পক্ষেই রয়েছি।” এর পাল্টা জবাব দিতে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও দিয়েছেন হুঁশিয়ারি।
তবে এখানেই থেমে নেই বিতর্ক। আন্তর্জাতিক কিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি, কাশ্মীর হামলার পেছনে ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্বের, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এর ফলে দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, যেকোনো সময় পরিস্থিতি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নিতে পারে—যা হবে দুই দেশের সাধারণ মানুষের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনার শঙ্কা।