চলমাম কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ নামে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আবু সাঈদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে আহত হন তিনি। পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আবু সাঈদের আহত হওয়ার পুরো দৃশ্য ধারণ করেছে একাধিক গণমাধ্যম। যমুনা টেলিভিশন এ ধরনের একটি ভিডিও প্রচার করেছে। এছাড়া স্থানীয়ভাবেও কেউ কেউ ভিডিও করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। এসব ভিডিও থেকে তার গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময়ের পরিষ্কার একটি চিত্র পাওয়া যায়।
সংঘর্ষ শুরু হলে আন্দোলনকারীদের মধ্যে সবার আগে ছিলেন আবু সাঈদ। আবু সাঈদের ঠিক সামনেই অবস্থান করছিল পুলিশ। পুলিশের অবস্থানের জায়গাটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেট। পুলিশের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন আবু সাঈদ। উল্টো দিক থেকে রাবার বুলেট ছুড়ছিলেন পুলিশের সদস্যরা। সেই গুলিতেই আহত হন তিনি।
তারপরও অবস্থান থেকে সরেননি আবু সাঈদ, দাঁড়িয়েই ছিলেন, তার হাতে ছিল একটি লাঠি। তিনি সেই লাঠি দিয়ে রাবার বুলেট ঠেকানোর চেষ্টা করছিলেন। ক্রমাগত রাবার বুলেটের মুখে একপর্যায়ে পিছু হটেন আবু সাঈদ, পুলিশের গুলিতে যখম হয়ে সড়কের বিভাজক পার হয়ে বসে পড়েন মহাসড়কে। এ সময় আন্দোলনকারী একজন দৌড়ে আসেন এবং গুলি লেগেছে- এ রকম কথা শোনা যায়। এরপর অন্যরা এসে তাকে ধরাধরি করে নিয়ে যায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলো আমাদের হাতে এসেছে এবং সেটি আসল বলেই নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ভিডিওতে সাঈদকে সহিংস বা আক্রমণাত্মক কোনও রূপে চোখে পড়েনি।
কিন্তু তারপরও পুলিশ কেন তাকে লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছুড়ল? বিকল্প কোনও উপায়ে কি তাকে সরানো বা নিবৃত্ত করা সম্ভব ছিল?