জাবি প্রতিনিধি: খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে এবং অবিলম্বে কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ জাবি শাখার আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধন শেষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্র উপদেষ্টাদেরকে দায়িত্বহীন উল্লেখ করে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শিক্ষার্থীদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে যে প্রশাসন ক্ষমতায় বসেছে, তারা যদি শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব না দেয় তাহলে তারা আর গদিতে থাকতে পারবে না। ছাত্র উপদেষ্টারা বলে তাদের নাকি ক্ষমতা নাই। আমরা স্পষ্টভাবে তাদেরকে বলতে চাই আপনাদের ক্ষমতা না থাকলে নিপীড়িত শিক্ষার্থীদের পাশে না দাঁড়াতে পারলে আপনারা দায়িত্ব ছেড়ে দেন। ছাত্র উপদেষ্টারা যদি শিক্ষার্থীদের পাশে এসে দাঁড়াতে না পারে তাহলে ভিসি মাসুদের পদত্যাগের আগে ছাত্র উপদেষ্টাদের পদত্যাগ চাই। প্রশাসন আমাদের অযুহাত দেয় ভিসি মাসুদ বিএনপির লোক, তার বিরুদ্ধে কিছু করা যাবে না।আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই, আপনারা যদি বিএনপির কথা শুনেই চলেন তাহলে এখনো ক্ষমতায় বসে আছেন কেন? ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে নির্বাচন দিয়ে দেন, আমরা তাহলে বিএনপির ক্ষমতাবলে চলে যাই। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই, আপনারা দ্রুত কুয়েটের উপাচার্যকে অপসারণ করুন।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, “কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলার পর তারা বিচারের দাবি জানালো। অথচ কুয়েটের অথর্ব প্রশাসন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করলো। আমরা ফ্যাসিস্ট আমলে দেখেছি বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গনে হামলার পর প্রশাসন নীরব থাকতো। ফ্যাসিস্টের পতনের পর কুয়েটে একই চিত্র আমরা দেখছি। কুয়েটে এতো বড় ঘটনার পরেও শিক্ষা উপদেষ্টার কোন বক্তব্য নাই, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোন বক্তব্য নাই। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই যে বিপ্লবীদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আপনারা ক্ষমতায় বসেছেন, সেই বিপ্লবীদের যদি অনশন করে মরতে হয় তাহলে আপনাদের নরম গদিতে বসে থাকার কোন অধিকার নাই। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই অবিলম্বে কুয়েটের ভিসিকে অপসারণ করতে হবে, নাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।”