কি করেছি?
দোষটা কি?
কৈফিয়ত কি দিবে আমায়…
ব্যস্ত রাস্তায়,
ব্যস্ত সময়ে
এত কেন এড়িয়ে যাও আমায়..
কতটা ন্যায়
বলো….ঠিক
কতটা অন্যায়
বাকি ছিল আমার
আর কতটা দোষ ছিল তোমার..
হিসাব করো,
অঙ্ক কষো,
দরকার হয়
বুদ্ধি নাড়ো
খোঁজে বলো
শেষটা গল্প
কেঁদো না
হেসে দাও।
মায়াহীন থাক
ধ্যানমগ্ন থাক
আচ্ছন্নে যাও
সত্যটা দাও
বিভ্রম ছাড়ো
বাস্তবে আসো
এবার বলো…
খুঁজ কি মিলেছে তোমার অবজ্ঞার?
হয়তো আমি
প্রচন্ড দোষী
ভবের নেশায়
মত্ত নিবাসী।
হয়তো আমি
সহায়হীন নিচু
জ্ঞানশূন্য ছেলে
এবেলা সেবেলায়
অর্থহীন থাকি।
হয়তো আমি
তোমার মতো
ধনকুবের না
হয়তো আমার
বিলাসিতা নাই
থাকার ছোটঘর
ভাঙ্গা জানালা
নষ্ট আলমারি
ঘুনেধরা কপাট
প্রস্তহীন খাট
ঢিলেঢালা শার্ট।
হয়তো আমার
চেহারা খারাপ
আহ্লাদ দুরন্ত
রিদয়টা শক্ত
বুকটা ব্যথিত
মায়াগুলো মৃত
চাওয়াগুলো হাসে
আকুতিরা ভাসে
হাসিটা কৃত্রিম
হয়তো আমি
প্রচন্ড অভিমানী
রগচটা রাগী
ঘাড়টা ত্যাড়া
অকারণে মুখলাল
সত্য অসত্যের
তীব্র প্রতিবাদে
অনড় বহাল।
হয়তো আমার
হৃদপিণ্ড খেকেও
মাথায় রক্ত
সামান্যই বেশি
অল্প জবাবে
কথার চেয়েও
হাতের মুষ্ঠিটা
জড়ো হয়
অল্পটা বেশি।
হয়তো আমিটা
একটু অশান্ত
যত্নহীন খুব
শক্ত বরফ
খেয়ালী স্বচিন্তায়
প্রবল নিরাসক্ত
বুকটা হাহাকার
শূণ্যতার চাদরে
বিষাদে ক্ষ্যান্ত।
হয়তো আমি
আড়ালে থাকি
পিছনে হাটি
নষ্টামি থেকে
ভন্ডামি হতে
সেইদিন থেকে
তোমার কথার
রক্ষিতে ওয়াদা
সম্মান শ্রদ্ধায়।
হয়তো আমার
কথাগুলো ভারী
কর্কশ,খাপছাড়া
তেলবাজি মুক্ত
বিদঘুটে লাগে
আনচান ভুংভাং
বঁচনা কম
সততা বেশি
ভীষন বিরক্তকর।
তাই কি কারণ এতটা উপেক্ষার..
জবাব দাও?
সময়টা এসেছে
উত্তর দাও?
এক্ষুনি দাও
অপরাধী হলে
থাকব না
চলে যাব
উড়াল দিব
আসব না
দাবি নিয়ে
সত্য-মিথ্যার।
তবে যদি,
নির্দোষ হই
মিছেখেলা কেন?
উপহাস কেন?
মিথ্যাচার কেন?
উপেক্ষা কেন?
অবজ্ঞা কেন?
আঘাত কেন?
প্রতিটা দাবির
প্রতিটা কথার।
কৈফিয়ত আছে কি আদৌ তোমার..
বলে যাও
ভেবে যাও
হয়তো বন্ধু
তুমি বলবে
আমি নির্দোষ
আমি নিষ্পাপ
ভেবেচিন্তে নয়
অজান্তে অচিন্তার
অবাধ্য মায়ায়।
তবুও আমি
শেষবারের মতো
তোমার কাছে
প্রশ্ন -উত্তর চাই
প্রতিটা কথার
প্রতিটা ব্যথার।
দয়া করে
কোন একদিন
বলিও সজ্ঞানে
নাহয় স্বেচ্ছায়।
শুধু কৈফিয়তটা দিও আমায়।
##
কবিতা:কৈফিয়ত, কাব্যগ্রন্থ: তোমার জন্য
জুয়েল রানা
শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ,
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।