কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রক্টর শরিফুল ইসলামের পদত্যাগ ও ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ছাত্র-শিক্ষকদের গণপদযাত্রার শুরুতে বক্তব্যে এ কথা বলেন শিক্ষার্থীরা।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মৃত্যু ও শতাধিক শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় প্রক্টরের নীরব ভূমিকা পালন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক থেকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের দিকে গুলি চালানোকালে সেখানে হেলমেট পরিহিত কয়েকজন শিক্ষককে দেখা গেছে দাবি করে সেই শিক্ষকদের সামাজিকভাবে বয়কট এর দাবিও জানান তাঁরা। পাশাপাশি, ৭৫ একরের এই ছোট ক্যম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিও জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে বক্তব্যে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, “আমাদের ছোট ভাই আবু সাঈদ যে দিন পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছিলেন সে দিন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক হেলমেট পরে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এবং আমরা সেখানে উপস্থিত সহপাঠী ও ছোটভাইদের সামাজিকভাবে বয়কট করেছি। সম্মানিত শিক্ষকদের কাছে আমার প্রশ্ন, কেন আপনারা আপনাদের সহকর্মীদের সামাজিকভাবে বয়কট করছেন না? কেন আপনারা প্রক্টরিয়াল বডিকে সামাজিকভাবে বয়কট করছেন না? কেন আপনারা ভিসি এবং প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের বয়কট করছেন না? আপনারা যদি এটা করতে না পারেন, তবে আমরা ধরেই নিব আপনারা আবু সাঈদের লাশের সঙ্গে তামাশা করছেন।”
মুকুল বেরোবি ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আরও বলেন, “আমাদের কাছে মনে হয় বেরোবির ৭৫ একরের এই ছোট্ট ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের ছাত্ররাজনীতির আর প্রয়োজন নেই, হোক তা ছাত্রলীগ, ছাত্রদল কিংবা ছাত্রশিবির। আমরা চাই প্রশাসন যেন আমাদেরকে একটি ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস উপহার দেয়।”
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, “পদত্যাগের বিষয় নিয়ে আপাতত কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে কথা বলে ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে কথা বলতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।