বলিউডের দুই জনপ্রিয় তারকা সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফের প্রেমের সম্পর্ক একসময় সবার নজরে আসে। ২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিউ কিয়া’ সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেন এই জুটি। যদিও তার আগেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়।
অনুরাগীদের মতোই সালমান-ক্যাটরিনার সম্পর্কের সফল সমাপ্তি দেখতে চেয়েছিলেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খানও। তিনি চেষ্টাও করেছিলেন এই দুজনকে একসঙ্গে আনার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সালমান ও ক্যাটরিনার সম্পর্ক একসময় বিয়ের দিকেও গড়ায়। সালমান অভিনেত্রীকে জীবনসঙ্গী হিসেবে খুবই চাইতেন, কিন্তু তাদের সম্পর্ক আচমকাই ভেঙে যায়, যা সবাইকে চমকে দেয়।
সালমানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ২০১৩ সালে ক্যাটরিনা রণবীর কাপুরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। একই সময়ে তিনি আমির খানের সঙ্গে ‘ধুম ৩’ সিনেমায় কাজ করেন। ছবির প্রচারের সময় সালমান প্রসঙ্গে ক্যাটরিনাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে যান।
এক সংবাদ সম্মেলনে আমির খান প্রকাশ্যে স্বীকার করেন, তিনি অনেকবার সালমানকে বিয়ের জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সালমান তার কথায় কান দেননি। সেই মুহূর্তে পাশে বসে থাকা ক্যাটরিনা প্রশ্নের মুখে পড়লে লজ্জায় পড়েন এবং বলেন, ‘আমি সত্যিই জানি না কী বলব এ বিষয়ে… এ প্রশ্নের কোনো উত্তর আমার কাছে নেই।’
আমির খান তখন আবেগঘন কণ্ঠে ক্যাটরিনাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি কি কখনো সালমানকে জিজ্ঞেস করেছো, সে বিয়ে করতে চায় কি না?’ ক্যাটরিনা আরও লজ্জায় পড়ে উত্তর দেন, ‘এ বিষয়ে আমার কিছুই বলার নেই!’
আমির খান এরপর স্পষ্ট করে বলেন, তিনি বাস্তবেও সালমান ও ক্যাটরিনাকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। তার কথায়, ‘পর্দার মতো বাস্তবেও ওদের একসঙ্গে থাকতে দেখতে চাই।’
প্রসঙ্গত, সালমান ও ক্যাটরিনা ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘এক থা টাইগার’ ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন। সেই ছবির শুটিংয়ের সময় তাদের মধ্যে কিছু অস্বস্তি এবং টানাপড়েন দেখা যায়, যা তাদের বিচ্ছেদের পরের ঘটনা। ছবির পরিচালক কবির খান এক সাক্ষাৎকারে জানান, তখন তাদের সম্পর্কের টানাপোড়েন স্পষ্ট ছিল, যা শুটিংয়েও প্রভাব ফেলেছিল।