নিরাপত্তার অভাবে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) গবেষণা খামারের ফসল।
গবেষণা মাঠ থেকে ঘটছে প্রতিনিয়তই ফসল চুরির ঘটনা। ফলে গবেষণা কার্যক্রম নিয়ে হতাশ শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এ বিষয়ে প্রশাসনের কোনো তৎপরতা নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব ও উদ্যানতত্ত্ব মাঠে সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির শিক্ষার্থীরা পাঠ্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন ফসলের জাতের ওপর পরীক্ষামূলক গবেষণা পরিচালনা করে থাকেন। তবে প্রায়ই কিছু বহিরাগত ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গবেষণার ফসল চুরি ও নষ্ট করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গবেষণা কার্যক্রম। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ফলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, অর্থ ও শ্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা হারাচ্ছেন আগ্রহ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যহানির পাশাপাশি বাড়ছে নিরাপত্তাহীনতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাস্তাগুলোতে সজোড়ে বাইক চালিয়ে ঘুরতে দেখা যায় বহিরাগতদের। ছুটির দিনগুলোতে বহিরাগতদের সামলাতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা। নিত্যদিনের চিত্র এখন এটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী বলেন,”অনেক কষ্ট করে আমরা রিসার্চ করি। অথচ কতিপয় লোক আমাদের এ কষ্টের ফসল নষ্ট করে দিয়ে যাচ্ছে।
একাধিক বার আমার প্লট থেকে নেট ছিড়ে গাছ ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে, ফুল চুরি হয়েছে। এমনকি আমার রিসার্চ প্লটের প্রথম ফুলটি ছিড়ে নিয়ে গেছে।
শুধুমাত্র আমার প্লট থেকেই ফুল চুরি হয় তা নয়। প্রায় সব রিসার্চ প্লটেরই নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপার এটা। একাধিক বার হাতেনাতে ধরে নিজেই হেনস্তার স্বীকার হয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতায় এই ঘটনাগুলো বারবার ঘটে। বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রতি নজরদারি বাড়ানো উচিত। আনসারদের নিয়মিত টহল দেয়ার ব্যবস্থা থাকলে এবং জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনলে এই ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি হতো না।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ বলেন,” ইতিমধ্যে দুপুর ৩টার পর ফিল্ডে প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছি এবং আনসার সংখ্যা কম হওয়ায় ফিল্ডে আনসার দেওয়া এখন সম্ভব না। তাও আমরা কোনো লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবো”