বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
সোমবার (২৪ জুন) ইউট্যাব জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদদীন ও মহাসচিব সহযোগী অধ্যাপক শাহীনুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে ইউট্যাব নেতৃবৃন্দ সময় ক্ষেপণ না করে অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানান।
ইউট্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে গুরুতর অসুস্থ। তিনি বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের (সিসিইউ) ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড একাধিকবার পরামর্শ দিয়েছে যে, খালেদা জিয়া এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। দেশে তাকে চিকিৎসা দেওয়ার মতো আর কিছু বাকী নেই। কেননা তার চিকিৎসার জন্য যে ধরনের যন্ত্রপাতি দরকার, সেসব বাংলাদেশে নেই। ফলে খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে হলে বিদেশে অ্যাডভান্সড সেন্টারে নিয়ে ট্রিটমেন্ট অতি জরুরি।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সরকারকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে মানবিক দিক বিবেচনা করে তাকে অবিলম্বে মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানাই। এ ক্ষেত্রে দলীয় সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোভাব পরিহার করে সরকারকে গণতান্ত্রিক পথে চলার আহ্বান করছি। অন্যথায় সরকার দায় এড়াতে পারবে না।
এ ছাড়াও বিবৃতিতে গত শুক্রবার গভীর রাতে খালেদা জিয়া অসুস্থ হলে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃক অ্যাম্বুলেন্স সহায়তা না দেয়ার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানান তারা।
এর আগে শুক্রবার (২১ জুন) গুলশানের বাসা ফিরোজায় খালেদা জিয়া হঠাৎ ‘অসুস্থ’ হয়ে পড়লে রাত সাড়ে ৩টায় অ্যাম্বুলেন্সে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে গতকাল রোববার খালেদা জিয়ার হার্টে (হৃদযন্ত্র) পেসমেকার (হৃদস্পন্দন তৈরির যন্ত্র) স্থাপন করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের (সিসিইউ) ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে আছেন।