সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি আত্মহত্যা করেননি, বরং পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল বলে নিশ্চিত করেছে টাস্কফোর্স গঠিত তদন্ত দল। সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন দুজন, তবে ডিএনএ নমুনা অস্পষ্ট থাকায় অভিযুক্তদের সুনির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, রান্নাঘরের ছুরি ও বঁটি দিয়ে তাদের খুন করা হয় এবং খুনের সময় তারা অনেকক্ষণ জীবিত ছিলেন। খুনের আগে বাসায় কেউ প্রবেশ করেনি এবং আলামত বিশ্লেষণে জোর করে প্রবেশের প্রমাণ মেলেনি।
তদন্তে পারিবারিক কলহ, চুরি বা পেশাগত শত্রুতা—কোনো কারণই খুনের পেছনে পাওয়া যায়নি। ভিসেরা রিপোর্টেও বিষ বা চেতনানাশকের কোনো অস্তিত্ব ধরা পড়েনি।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় খুন হন এই সাংবাদিক দম্পতি। পরে দীর্ঘ সময় তদন্তের কোনো অগ্রগতি না থাকায় সরকার পরিবর্তনের পর মামলাটির তদন্তভার টাস্কফোর্সের হাতে দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হত্যার সময় শিশুপুত্র মেঘ একই বিছানায় ঘুমিয়ে ছিলেন। সাগরকে বাধা দেওয়ার সম্ভাবনায় তার হাত-পা বাঁধা হয়, রুনির ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। ডিএনএ পরীক্ষায় চারজনের নমুনা মেলে—যার মধ্যে দুজন সাগর-রুনি, বাকি দুজনকে শনাক্ত করা যায়নি।
প্রমাণ সংরক্ষণে ঘাটতি ও অপরিকল্পিত তদন্তের কারণে বহু গুরুত্বপূর্ণ আলামত নষ্ট হয়ে যায়, বিশেষ করে সংবাদকর্মী ও স্থানীয়দের উপস্থিতির কারণে ঘটনার পরপরই ক্রাইমসিন নষ্ট হয়।
পেশাগত কোনো সংবাদের জেরে খুন বা কারও সঙ্গে শত্রুতার কোনো প্রমাণ টাস্কফোর্স পায়নি। ফলে খুনের মোটিভ ও প্রকৃত হত্যাকারীদের শনাক্ত করা এখনও সম্ভব হয়নি।
এই প্রতিবেদনটির জন্য কি আপনি একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ক্যাপশন বা ইনফোগ্রাফিক উপযুক্ত সারাংশও চান?