আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চলমান গাজা যুদ্ধে অঞ্চলটিতে সম্প্রতি অনাহারে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
পাশাপাশি, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের লাগাতার বিমান ও স্থল হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় ২৫০ জন। ফলে ইসরায়েলি আগ্রাসনে মোট নিহতের সংখ্যা প্রায় ৫৩,৮০০ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
হামাসনিয়ন্ত্রিত এলাকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, বহু মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছে, যেগুলো উদ্ধার সম্ভব হয়নি। রাস্তার ধারে পড়ে থাকা লাশগুলোকেও সরানো যাচ্ছে না, কারণ সেখানে পৌঁছাতে ব্যর্থ হচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, গত কয়েক দিনে অনাহারে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৯ জনের, যাঁদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ।
চরম খাদ্যসংকটে থাকা হাজার হাজার মানুষ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা প্রায় পুরোপুরি ব্যাহত হওয়ায় মানবিক বিপর্যয় ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। জাতিসংঘও কয়েক মাস আগে অনাহারে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছিল অঞ্চলটিতে।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েল ২০২৪ সালের ১৮ মার্চ থেকে নতুন করে হামলা শুরু করে। এরপর থেকে ৩,৬১৩ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে পূর্বের যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যত ভেঙে গেছে।
ইতিমধ্যে গাজায় ইসরায়েলের এই আগ্রাসনকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে চিহ্নিত করে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)–এ মামলাও চলছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, গাজার জনগণ একটি পরিকল্পিত মানবিক দুর্যোগের শিকার হচ্ছেন। এর পরিণতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তার জন্য আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।