গাজায় ইসলায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘ফিলিস্তিনে জ্বলছে আগুন জ্বলছে আগুন বক্ষে, বিশ্ববাসী দাঁড়াও রুখে মানবতার পক্ষে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে প্রতিবাদী কবিতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে শব্দকলা সাহিত্য সংগঠনের ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
কবিতা পাঠ অনুষ্ঠানে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন,কবিতা যেমন কোমলতার কথা বলতে পারে তেমনি দ্রোহ,বিদ্রোহ,যুদ্ধের ভাব প্রকাশের অনন্য মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।আমি মনে করি, যে যুদ্ধটি চলছে অবিচারের বিরুদ্ধে সুবিচারের যুদ্ধ, মানুষের অধিকারের বিরুদ্ধে অধিকার হরণের যুদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধের অনেক গুলো দিক আছে।মাঠে যুদ্ধ হয়,জ্ঞানের রাজ্যে যুদ্ধ হয়,ঠিক তেমনি সাংস্কৃতিক অজ্ঞনেও যুদ্ধ হয়। সাংস্কৃতিক অজ্ঞনের যুদ্ধ আমাদের উজ্জীবিত করে এবং প্রতিবাদী হতে শেখায়।আমি মনে করি এরকম সাংস্কৃতিক প্রোগ্রাম বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পরবে।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, আমরা এখানেই কয়েকদিন আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে গাজার মজলুম মানুষদের প্রতি সংহতি জানিয়ে সমাবেশ করেছিলাম এবং আমি মনে করি আজকের এই কর্মসূচিটিও তার-ই একটি ফলো-আপ প্রোগ্রাম। কবি কাজী নজরুল ইসলাম যখন বৃটিশদের বিরুদ্ধে তার কবিতার মাধ্যমে সংগ্রাম চালিয়েছিলেন তখন কিন্তু মিডিয়া এতো শক্তিশালী ছিলোনা, কিন্তু তবুও তাকে কবিতা লিখে কারাবরণ করতে হয়েছিল। আমার বিশ্বাস, এই কবিতার যে প্রচন্ড শক্তি আছে তা ইসরায়েলী দখলদার বাহিনীর গদিকে নাড়িঁয়ে দিবে।
শব্দকলা সাহিত্য সংগঠনের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান আকন্দ বলেন, শব্দকলা সবসময় মানবতার পক্ষে কাজ করে। এ পর্যন্ত আমরা যত কাজ করেছি তা সবকিছুই বাংলা ভাষা,সাহিত্য, ও মানবতার জন্য। ভিডিও গেইমসের মতো যেভাবে গাজা ও রাফা শহর ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে তারই প্রতিবাদে আজকে আমদের কবিতা পাঠের আয়োজন করেছি।
দীন ইসলাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়