গাজায় যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে হামাস ও ইসরায়েল। শনিবার (৮ মার্চ) পৃথক বক্তব্যে এ বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছে তারা। হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনার ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, তবে তারা বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেনি। ইসরায়েলও আলোচনার প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত মধ্যস্থতাকারীদের আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেছে তেল আবিব। এই আলোচনার জন্য সোমবার দোহাতে প্রতিনিধিদল প্রেরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ হওয়ার পর ইসরায়েল গাজায় সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে। যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে হামাস ৩৩ জন ইসরায়েলি এবং পাঁচজন থাই নাগরিককে ছেড়ে দেয়, বিনিময়ে ইসরায়েলি বন্দিশালায় প্রায় দুহাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়।
বর্তমানে হামাস একটি প্রতিনিধি দল মিসরের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, এবং কাতারের কর্মকর্তারাও এই আলোচনা অংশগ্রহণ করছেন। হামাসের মুখপাত্র আবদেল লতিফ আল-কানুয়া জানিয়েছেন, তারা দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত এবং গাজার ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে সহায়তা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি জানিয়েছেন, যুদ্ধশেষে গাজা পরিচালনার জন্য একটি স্বাধীন ও পেশাদার কমিটি গঠন করা হবে। আরব লীগ সম্মেলনে গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনা পেশ করার সময় তিনি এই কথা বলেছেন, এবং ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে গাজা পুনর্গঠনের মার্কিন প্রস্তাবের বদলে মিসরের প্রস্তাব পছন্দ করেছে আরব দেশগুলো।
গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে হামাসের কাছে থাকা বাকি জিম্মিদের ছেড়ে দেওয়ার শর্ত রয়েছে, এরপর তৃতীয় ধাপে গাজা পুনর্গঠনের আলোচনা ও সিদ্ধান্তের মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটানোর পরিকল্পনা রয়েছে।