ইসরায়েলের অব্যাহত গণহত্যা ও ফিলিস্তিন দখলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মৌলভীবাজারে ছাত্র জনতা ও সর্বস্তরের মানুষ এবং আলেম-ওলামাগণ একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
গাঁজার নিরীহ মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর নারকীয় তাণ্ডবের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করে তারা বলেন, এখন বৈশ্বিক জিহাদ অনিবার্য হয়ে উঠেছে।
সোমবার, ৭ এপ্রিল, বিশ্বব্যাপী ঘোষণা দেওয়া সাধারণ ধর্মঘটের প্রতি সংহতি জানিয়ে মৌলভীবাজারেও ধর্মঘট ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে ।
“ মৌলভীবাজারের সর্বস্তরের জনগণ” ব্যানারে আয়োজিত এই মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বক্তারা বলেন, গাজায় চলমান গণহত্যা মানবতার ইতিহাসে সবচেয়ে বর্বর ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।
পশ্চিমা বিশ্বের তথাকথিত মানবাধিকারের কথা বলা দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, এ গণহত্যার সহযোগী হয়ে পড়েছে। তাদের রাজনৈতিক ও সামরিক সহায়তা ছাড়া ইসরায়েলের এই দখলদারিত্ব ও বর্বরতা সম্ভব হতো না। প্রতিবাদকারীরা অভিযোগ করেন, মুসলমান হওয়ায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদাসীনতা প্রকাশ পেয়েছে। তারা বলেন, মুসলমানদের মানবাধিকার যেন এক প্রকার বাতিল বলে ধরে নিয়েছে পশ্চিমারা—এটি ইতিহাসের এক আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।
তারা আরও বলেন, ইসরায়েলকে সহায়তা প্রদানকারী আমেরিকান শাসকগোষ্ঠীর দায়ভার শুধু তাদের নয়, বরং আমেরিকার সাধারণ নাগরিকদেরও রয়েছে, কারণ তাদের ট্যাক্সের অর্থ দিয়েই ইসরায়েলের বর্বরতাকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। এজন্য আমেরিকান জনগণকেই শাসকদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে হবে এবং এই দাসত্বনীতি থেকে বেরিয়ে আসার রাজনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে। তাদের মতে, যদি আমেরিকার জনগণ তাদের সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত না করতে পারে, তবে পৃথিবীতে মানবতার আর কোনো মূল্য থাকবে না।