ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজা যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তি নিয়ে আলোচনা প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে, জানিয়েছেন এক সিনিয়র ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা। তিনি বলেন, চুক্তির প্রস্তাবে গাজা-ইসরায়েল সীমান্তে একটি বাফার জোন গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে ইসরায়েল সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখবে।
এই চুক্তির তিন ধাপে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব রয়েছে, যার প্রথম পর্যায়ে নারী সৈনিকদের মুক্তির বিনিময়ে ২০ জন ফিলিস্তিনি বন্দী মুক্তি পাবে। বন্দীদের তালিকা এখনও চূড়ান্ত হয়নি, তবে ২৫ বছর বা তার বেশি সময় ধরে কারাগারে আটক প্রায় ৪০০ জনের মধ্যে থেকে বন্দীদের নির্বাচন করা হবে।
এছাড়া, চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েলি জিম্মিদের পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেওয়া হবে। গাজার বেসামরিক নাগরিকরা মিশরীয় বা কাতারি তদারকির অধীনে উত্তরে ফিরতে পারবেন, এবং প্রতি দিন ৫০০ ট্রাক সাহায্য প্রবাহিত হবে।
এই তিন-ধাপের চূড়ান্ত পর্যায়ে, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের সমাপ্তি আসবে এবং এটি একটি নতুন টেকনোক্র্যাট কমিটি দ্বারা পরিচালিত হবে, যার পূর্বের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।
আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির জন্য উভয় পক্ষের সর্বোচ্চ ইচ্ছা প্রকাশিত হয়েছে। গত অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করা হলেও হামাস সেটি প্রত্যাখ্যান করেছিল।