বিশেষ প্রতিনিধি: গাজীপুরে ঈদের সময় তিন দিনে চারটি পৃথক দুর্ঘটনায় সড়কে ঝরে গেছে ৬ জনের প্রাণ। এদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য ও এক খালা-ভাগ্নি রয়েছেন।
এসব দুর্ঘটনায় অন্তত ৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এক দুর্ঘটনার ঘটনায় ক্ষুব্ধ জনতা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছেন।
নানার মৃত্যুসংবাদ পেয়ে পথে প্রাণ হারালেন খালা-ভাগ্নি
ঈদের দিন সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নানার মৃত্যুসংবাদ শুনে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান শিউলি আক্তার (৪৫) ও তার ভাগ্নি তাবাসসুম (৫)। গাজীপুরের শিববাড়ি মোড়ে তাদের বহনকারী সিএনজি অটোরিকশাকে একটি বাস ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর বাবা আবুবকর সিদ্দিক জুয়েল (৩৫), মা লিজা (২৩) এবং সিএনজি চালক গুরুতর আহত হন। ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা জড়িত বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পাশে থাকার স্বপ্নভঙ্গ, পুলিশ সদস্য নিহত
ঈদের পরদিন ছুটি নিয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর অস্ত্রোপচারের জন্য বাড়ি যাচ্ছিলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল রনি শিকদার (২৬)। তবে পথেই তার জীবন শেষ হয়ে যায়।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) কালিয়াকৈরের মৌচাক এলাকায় উল্টো দিক থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
ঈদের আগের দিন বাসচাপায় প্রাণ গেল আরও দুইজনের
ঈদের আগের দিন, ৩০ মার্চ, কোনাবাড়ীর দেউলিয়াবাড়ি এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হন। আরও চারজন আহত হন, যারা ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার ফলে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
অজ্ঞাত পথচারীর মৃত্যু
ঐ একই দিনে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন সাইবোর্ড এলাকায় দ্রুতগতির একটি গাড়ির ধাক্কায় এক অজ্ঞাতপরিচয় পথচারী নিহত হন। স্থানীয়রা তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের কোনাবাড়ি থানার ওসি নজরুল ইসলাম এসব দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ধারাবাহিক এসব দুর্ঘটনা এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে শোকের ছায়া ফেলেছে এবং সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি আবারও ভাবিয়ে তুলেছে।