গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন স্টেশন এলাকায় ধীরগতির যান চলাচল দেখা যাচ্ছে। যদিও এখনও তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়নি, তবে আজ পোশাক কারখানাগুলোর বাকি ৫০ শতাংশ ছুটি হলে বিকেলে যানবাহনের চাপ আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঈদ উপলক্ষে রাজধানী ছাড়তে শুরু করা মানুষের ভিড়ে গাজীপুরের প্রধান মহাসড়কগুলোতে গাড়ির গতি ধীর হয়ে পড়েছে। যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় প্রায় চার হাজার পুলিশ সদস্য, সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবারের মতো বৃহস্পতিবারও সকাল থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা গেছে। টঙ্গি থেকে সালনা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এবং চন্দ্রা ও আশপাশের এলাকায় প্রায় ৫ কিলোমিটারজুড়ে যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় রাতভর থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। সকালে কিছুটা উন্নতি হলেও স্টেশন এলাকাগুলোতে এখনও ধীরগতির কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ বছর ঈদ উপলক্ষে পোশাক কারখানাগুলোর ছুটি তিন ধাপে ভাগ করা হয়েছে—মঙ্গলবার ১০ শতাংশ, বুধবার ৪০ শতাংশ এবং আজ বৃহস্পতিবার অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ কারখানায় ছুটি হয়েছে। অনেক শ্রমিক নিজ নিজ কারখানার পরিবহনে বাড়ি ফিরলেও যাদের জন্য আলাদা পরিবহন নেই, তারা স্টেশন এলাকায় দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকে পর্যাপ্ত যানবাহন না পেয়ে ট্রাক, বাসের ছাদ, পিকআপ বা ছোট যানবাহনে করে রওনা হচ্ছেন। যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে কিছু পরিবহনচালক অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন।
ঈদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গাজীপুরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।