গোপালগঞ্জের পাচুরিয়া এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের একটি মেসে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে হওয়া এ হামলায় অন্তত আটজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন—কৃষি বিভাগের ইয়াজদানী আলী, মাহাদী হাসান তাহমিদ, এপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সেলিম রেজা ও আব্দুল্লাহ আল খালেদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মুয়াজ বিল্লাহ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ইমরানসহ আরও কয়েকজন। গুরুতর আহতদের গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হামলাকারীরা স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং তারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে। হামলার সময় তারা শিক্ষার্থীদের ‘সমন্বয়ক’ এবং ‘আন্দোলনকারী’ বলে গালাগালি করে। হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে স্থানীয় ইফতির নাম উঠে এসেছে, যাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে।
এ ঘটনার পর মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা গোপালগঞ্জ সদর থানায় জড়ো হয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলার প্রক্রিয়া শুরুর জন্য আহ্বান জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মো. সোহেল হাসান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহতদের খোঁজখবর নেন এবং প্রশাসনিক পদক্ষেপ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন।
এপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সেলিম রেজা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিশনাল এসপি) কাজী মাহবুবুল আলম জানিয়েছেন, অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে এবং পুলিশের সদস্যরা এ বিষয়ে তৎপর রয়েছে। ইতোমধ্যে মূল পরিকল্পনাকারী ইফতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরইউএস