ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে গতকাল(২৬ মে) মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও আজ(২৭ মে) সকাল থেকে ঝড় খুব একটা নেই তবে একটানা ভারি বর্ষণ হচ্ছে যা অব্যাহত আছে বিকেল পর্যন্তও।
এদিকে গতকাল (২৬ মে) ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ধসের আশঙ্কাও রয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রোববার (২৬ মে) গণমাধ্যমকে রেমাল মোকাবেলায় নানান প্রস্তুতির কথা জানানো হয়।
জেলা প্রশাসন জানায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবেলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং, পৌরসভায় ২৯টি এবং ১০টি উপজেলায় ৩২২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি জেলা সদরসহ প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এ ছাড়াও পুলিশ, আনসার, রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সংগঠনকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গতকাল সতর্কতার জন্য পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরতদের উদ্দেশ্যে মাইকিং করেছে জেলা প্রশাসন।
রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান এ বিষয়ে বলেন, “রাঙ্গামাটি পৌর এলাকাসহ প্রতিটি উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র ও কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পাহাড়ি এলাকায় পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমরা সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করে রেখেছি।”