বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ইনকিলাব মঞ্চ। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সেনাবাহিনীর ৫৭ জন চৌকস সেনা অফিসারকে হত্যা করা হয়।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে বেলা ১১:৩০ মিনিটে মানববন্ধন করে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যরা। এসময়ে তারা “রক্তের ঋণ রক্তেই শোধ,
আমরা নেবো প্রতিশোধ!” “শহীদ সেনাদের রক্ত, বৃথা যেতে দেবো না!” “বিডিআর হত্যাকাণ্ডের, বিচার চাই, বিচার চাই!” “হত্যাকারীর ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না!” “শহীদদের আত্মা কাঁদে, ন্যায়ের আলো আসুক চাঁদে!” প্রমূখ স্লোগান দেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ শহিদুল হক বলেন, “এটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক যে একটা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতিক ৫৭ জন চৌকস সেনা অফিসার কে সেই দেশের সেনাঘাটিতে হত্যা হত্য হতে দেখা। আরও হতাশাজনক হলো এমন একটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার ১৭ বছর পরে এসেও কোনো নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য কোনো তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। আমি আজ এখানে শুধু ইনকিলাব মঞ্চের সাথে সংহতি জানাতে আসিনি, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হিসেবে, বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবি জানাই। ইনকিলাব মঞ্চ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কে ধন্যবাদ! এমন একটি মানববন্ধনের আয়োজন করার জন্য।
চবি ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক মোঃ রকিবুল ইসলাম বলেন, বিদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়ন এবং ফ্যাসিবাদের শেকড় শক্ত করার জন্যই দেশপ্রেমিক সেনা অফিসাদের হত্যা করা হয়। অন্তরবর্তীকালীন সরকার যদি এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের সম্মুখীন না করতে পারে তবে দেশ থেকে ফ্যাসিবাদের শেকড় স্ব মূলে উৎপাটন করা যাবে না, নব্য ফেসিবাদ আবার ফিরে আসবে। ইনকিলাব মঞ্চ সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিল, আছে, থাকবে ইনশাআল্লাহ। ইনকিলাব জিন্দাবাদ!