চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আইন অনুষদের একটি প্রোগ্রামে প্রধান বিচারপতির পাশে হাসান মুহাম্মদ রোমান শুভ নামের বিতর্কিত এক শিক্ষক উপস্থিত থাকায় ক্যাম্পাসজুড়ে চলছে সমালোচনা।
রোববার (৪ই মে) চবির আইন অনুষদ ও একে খান ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সপ্তম একে খান মেমোরিয়াল আইন বক্তৃতা-২০২৫ অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বিরোধিতাকারী ও শত শত শিক্ষার্থী নিপিড়নের সরাসরি অভিযুক্ত শিক্ষক হাসান রোমান কিভাবে এমন প্রোগ্রামে প্রধান বিচারপতির পাশে থাকতে পারে?
ছাত্র অধিকার পরিষদ চবি শাখার সদস্য সচিব মো. রুমান রহমান ফেসবুকে লিখেছেন, এই শিক্ষকের সাথে কোথাও দেখা না হোক! ২০২২ সালে আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জোবায়েরকে শিবির ট্যাগ দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলো। জোবায়ের ছাত্র অধিকার পরিষদের মেসেঞ্জার গ্রুপে থাকায় ওই গ্রুপের সবাইকে মানসিক টর্চার করা হয়েছিলো। শিবিরের সাথে কোন সম্পৃক্ততা না থাকায় ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মীকে শাটলে নাশকতার ভুল অভিযোগ এনে বহিষ্কার করেছিলো এই শিক্ষক।
তিনি আরও লেখেন, এখন তাকে গুরুত্বপূর্ণ সভা/সেমিনারে দেখা যায়! সমাবর্তনে সাথে সাথে লীগ পুনর্বাসন ভালোই চলছে এই প্রশাসনের! আইন বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক সহকারী প্রক্টর রোমানকে ছাত্র অধিকার পরিষদ ছেড়ে দেবে নাহ।
সৈয়দ আহমেদ সিয়াম লেখেন, ক্যাম্পাসে আইন বিষয়ক একটা প্রোগ্রামে চিফ জাস্টিস এসেছে। সেই প্রোগ্রামে স্টেজে রোমান স্যারের মতো নিষ্ঠুর মানুষও ছিলো৷ রোমান স্যারের মতো মানুষ এখনো সদর্পে প্রোগ্রামে থাকছে। এই রোমান স্যার আমাদের সাথে কী কী করেছে তা কারোরই ভুলে যাবার কথা না। আমি জাস্ট স্পিচলেস দম বন্ধ হয়ে আসছে। জুলাই মরে গেছে। আমরা ভিসি-প্রক্টরের গায়েবানা জানাজা পড়বো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনে আমিও অবাক হয়েছি। তার বিরুদ্ধে এখন একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। দ্রুতই প্রতিবেদন দাখিল হবে। আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রকীবা নবীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।
এছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষক হাসান মুহাম্মদ রোমান শুভ’র সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।