চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্র ১৯২টি দেশের দুই লাখ ৭০ হাজার অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে, যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এই সংখ্যা ২০১৯ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতিকেও ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)।
সিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেরত পাঠানো অভিবাসীদের অধিকাংশই দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন। আইসিই জানিয়েছে, তাদের মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ ছিল।
বাইডেন প্রশাসন ট্রাম্পকে ছাড়িয়ে গেছে:
২০১৯ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে দুই লাখ ৬৭ হাজার অনুপ্রবেশকারীকে ফেরত পাঠানো হয়। তবে গত এক বছরে জো বাইডেন প্রশাসন তার চেয়েও চার হাজার বেশি অভিবাসী ফেরত পাঠিয়েছে।
তবে অভিবাসী প্রত্যাবাসনের রেকর্ড ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় করা হয়, যখন ২০১৪ সালে এক বছরে ৩ লাখ ১৬ হাজার অভিবাসী ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
আরও ১৫ লাখ অভিবাসী ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা:
আইসিই জানিয়েছে, তাদের কাছে বর্তমানে ১৫ লাখ অনুপ্রবেশকারীর তালিকা রয়েছে, যাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এর মধ্যে ১৮ হাজার ভারতীয় রয়েছেন।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরিকল্পনা:
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে অভিবাসন নীতি আরও কঠোর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পরই তার প্রশাসন তালিকাভুক্ত ১৫ লাখ অনুপ্রবেশকারীকে ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম শুরু করতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে, কারণ ট্রাম্প আগেই কঠোর অভিবাসন নীতির কথা উল্লেখ করেছিলেন।
আরএস//বিএন