চট্টগ্রামের রাউজানে বড় অঙ্কের চাঁদা নিয়ে আওয়ামী লীগের কিছু কর্মীকে বিএনপিতে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি জসীম উদ্দিন চৌধুরী।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিজ দলের একটি অংশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, গত ১৭ বছর ধরে রাউজানের জনগণ আওয়ামী লীগের কিছু সন্ত্রাসীর হাতে জিম্মি ছিল। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর সাধারণ মানুষ স্বস্তি পেলেও, বিএনপির একাংশ এখন তাদের আশ্রয় দিচ্ছে এবং পুনরায় এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, লুটপাট, হামলা ও খুনের মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, রাউজান থানায় হামলা করে অস্ত্র লুট, ইটভাটাগুলো থেকে চাঁদা আদায়, কাঠবোঝাই ট্রাক থেকে নিয়মিত চাঁদা তোলাসহ বিভিন্ন অপকর্মে বিএনপির একটি অংশ জড়িত। এছাড়া, চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীদের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে।
জসীম উদ্দিন বলেন, ‘রাউজানের পাহাড়তলী ইউনিয়ন বিএনপির তথাকথিত সাধারণ সম্পাদক মোজাহের আলম সম্প্রতি গোয়েন্দা পরিচয়ে ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে। এছাড়া, ২৪ জানুয়ারি নোয়াপাড়ায় ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, যা বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘১৭ বছর ধরে আমরা নির্যাতিত হয়েছি, মামলা খেয়েছি, জেল খেটেছি। কিন্তু এখন দেখছি, যারা আগে আওয়ামী লীগের নেতা ছিল, তারা রূপ পাল্টে আমাদের দলে ঢুকে পড়েছে এবং আমাদেরকেই নিপীড়ন করছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রাউজান পৌরসভা বিএনপির সভাপতি আবু আহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার উদ্দিন খান এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।