পবিত্র ঈদুল আজহার কুরবানি করা গরুর চামড়া সংরক্ষণে মসজিদ মাদ্রাসায় ত্রিশ হাজার টন লবন ফ্রি’তে দেওয়ার কথা বলেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। যতদিন না চামড়া ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করা সম্ভব হবে, ততদিন এগুলো সংরক্ষণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার (২১ মে) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কোরবানি সম্পর্কিত বিষয়াদির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ কমিটির প্রথম সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি গতবারের চেয়ে বেশি মূল্যে চামড়ার দাম নির্ধারণ করতে, তবে সেটা অবশ্যই যৌক্তিক হবে। এ বছর যেন কোনো সিন্ডিকেট কাজ করতে না পারে, সেজন্য আমরা মজুদের ওপর জোর দিচ্ছি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করছি, যেখানে চামড়া ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের পদ্ধতি তুলে ধরা হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত উপযুক্ত মূল্য না পাওয়া যায়, ততক্ষণ যেন তারা চামড়া সংরক্ষণ করতে পারেন, সেই বিষয়টিও এতে থাকবে। এর পাশাপাশি সারাদেশে ৫ লাখ লিফলেট বিতরণ করা হবে।
বাজার ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্ধারিত স্থানে যেন কোরবানির হাট বসে এবং তার বাইরে যেন কোনো পশু ক্রয়-বিক্রয় না হয়, সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। পশুর হাটে যে হাসিল নেওয়া হয়, সেটি যেন ৫ শতাংশের নিচে থাকে, সে ব্যাপারেও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সরবরাহ ও চাহিদার ভিত্তিতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা করে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
শেখ বশির উদ্দিন আরও বলেন, আমাদের বাজার ব্যবস্থাপনা ও মূল্য নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনে কাঁচা চামড়া সরাসরি রপ্তানি করার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়েছে। যদিও আমরা তা চাই না। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন যেন আমরা চামড়ার উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণ করতে পারি, যদিও সেটি অনেকাংশে বাজার ব্যবস্থাপনার ওপর নির্ভর করে। আমরা সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করব যেন সঠিক মূল্য নির্ধারণ করা যায়।