চিটাগাং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি (সিআইইউ) স্কুল অব ল’ মুটিং অ্যান্ড ডিবেটিং ক্লাবের উদ্যোগে ‘ফান্ডামেন্টাল অব মুটিং এণ্ড এডভোকিসি’ বিষয়ক মুটিং ওয়ার্কশপ ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় দুটি সেশন পরিচালিত হয়, যেখানে শিক্ষার্থীরা মুটিং এবং অ্যাডভোকেসি বিষয়ক মৌলিক ও উন্নত কৌশল নিয়ে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। প্রশিক্ষকরা মুটিংয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক যেমন যুক্তি তৈরির পদ্ধতি, প্রতিপক্ষের যুক্তি খণ্ডন এবং কার্যকর যোগাযোগ দক্ষতা বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ জনেরও বেশি আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
ক্লাব সভাপতি আনুশকা দে’র সঞ্চালনায় সেসময় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক মুটিং প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাঈদ আহসান খালিদ, ইন্টারন্যাশনাল ল স্টুডেন্ট’স এসোসিয়েশন বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের ন্যাশনাল কোর্ডিনেটর এন চৌধুরী।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কুল অব ল’ এর ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজর প্রফেসর শিফাত শরমিন। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কুল অব ল’র ডিন ও সহকারী অধ্যাপক নাজনীন আক্তার, সহকারী অধ্যাপক আখতারুল আলম চৌধুরী, ক্লাব অ্যাডভাইজর সিদরাতুল মুনতাহা তৃণা, মডারেটর নাঈম আহসান তালহা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর শিফাত শরমিন বলেন, নতুন প্রজন্মকে বিচারক এবং আইনজীবি হিসেবে যে প্রতিবন্ধকতাগুলোর সম্মুখীন হতে হয় সেক্ষেত্রে মুট কোর্ট শিক্ষার্থীদেরকে দক্ষ বিচারক এবং আইনজীবী হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা যাতে মুটিং প্রতিযোগিতায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম বয়ে আনতে পারে সেই লক্ষ্যে আপনাদের এই আয়োজন সত্যই প্রশংসনীয়। আমি চাইবো এমন আয়োজন আরও হোক।
ক্লাব মডারেটর নাঈম আহসান তালহা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মুট কোর্ট প্রতিযোগিতায় সাফল্যের সাথে অংশগ্রহণ করে আসছে। নতুন শিক্ষার্থীদের মাঝে সে ধারা আমরা অব্যাহত রাখতে চাই।এই মুটিং কর্মশালার মাধ্যমে আইনের ছাত্ররা যাতে আইন বিষয়ে বিভিন্ন গবেষণার জন্য নিজেদের তৈরি করতে পারে সেটিও আমাদের লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানের শেষে অতিথিরা ও প্রশিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রম আরও আয়োজনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।