পাকিস্তান চীনের কাছ থেকে ৪০টি অত্যাধুনিক জে-৩৫এ স্টেলথ যুদ্ধবিমান কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। ইসলামাবাদ ও বেইজিংয়ের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা চলছে।
এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে দক্ষিণ এশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষার শক্তি ভারসাম্যে বড় পরিবর্তন আসবে এবং পাকিস্তান ভারতের বিমান বাহিনীর চেয়েও এগিয়ে যেতে পারে।
জে-৩৫এ চীনের দ্বিতীয় পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ ফাইটার জেট। এটি একাধিক ভূমিকা পালন করতে সক্ষম এবং চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) একে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখে।
এ যুদ্ধবিমান দেখতে যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড মার্টিন কোম্পানির তৈরি এফ-৩৫ এর মতো হলেও জে-৩৫এ-তে দুটি ইঞ্জিন রয়েছে।
পাকিস্তান ইতোমধ্যেই এই যুদ্ধবিমান কেনার অনুমোদন দিয়েছে এবং ২০২৪ সালের জুলাই থেকে তাদের পাইলটরা জে-৩৫এ চালানোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুই বছরের মধ্যেই পাকিস্তানে ৪০টি যুদ্ধবিমান সরবরাহ করা হবে।
পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১৬ এবং ফ্রান্সের মিরাজ যুদ্ধবিমানের ওপর নির্ভর করছিল। তবে এগুলো প্রতিস্থাপনে চীনের সাহায্য নিচ্ছে। এ চুক্তি বাস্তবায়িত হলে পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে জে-৩৫এ কতটা কার্যকর হবে, তা নির্ভর করবে পাকিস্তানি পাইলটদের দক্ষতা এবং চীনের সরবরাহ করা অস্ত্র ও প্রযুক্তিগত সহায়তার ওপর।
আরএস//বিএন