ছাত্রদের নতুন সংগঠন গনতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ- এর মধ্যে ঢাকা ও ঢাবিকেন্দ্রিক নয়া ফ্যাসিবাদী মনোভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে উল্লেখ করে সংগঠনটি থেকে পদপত্যাগ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) থেকে পদ পাওয়া দুইজন সমন্বয়ক।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নিজ নিজ ফেসবুকে পদত্যাগের বিষয়ে পোস্ট করেন তাঁরা। পদত্যাগ করা দুইজন হলেন- গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক মেহেদী সজীব ও যুগ্ম-সদস্য সচিব সালাউদ্দিন আম্মার।
ফেসবুক পোস্টে মেহেদী সজীব লিখেছেন, “আজ ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ’ এর কেন্দ্রীয় কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আমার নাম বলা হয়েছে। গতকাল রাতেও এ নিয়ে আমি আমার স্ট্যান্ড ক্লিয়ার করেছি। এখনও বলছি।
নতুন বন্দোবস্তের নামে ঢাকা ও ঢাবিকেন্দ্রিক নয়া ফ্যাসিবাদী মনোভাবের যে উত্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তার প্রতিবাদেই আমি এই প্লাটফর্মে থাকতে রাজি না। কেন্দ্র থেকে অন্য একটি মাধ্যমে আমার সাথে কয়েকবার যোগাযোগ করা হয়েছিলো। তবে তারা কেউ সরাসরি আমার সাথে যোগাযোগ করারও প্রয়োজন মনে করেনি। যে মাধ্যমে আমার সাথে যোগাযোগ করেছিলো, গতকাল রাতে সেই মাধ্যমকে আমি সাফ জানিয়ে দেই, আমি এই ছাত্র সংগঠনে থাকছি না। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য স্টেইকদেরকে বিপ্লব পরবর্তী সময় থেকে যেভাবে বিভাজন করা হয়েছে সেই বিভাজনের রাজনীতিতে আমার পক্ষে থাকা সম্ভব নয়।”
তিনি আরও লিখেছেন, “তবুও আজ সংবাদ সম্মেলনে আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আমার ইচ্ছা ব্যতীত এই দলে আমাকে সম্পৃক্ত করার জন্য নিন্দা জানাচ্ছি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্যই আমি আজ মেহেদী সজীব হিসেবে গড়ে উঠতে পেরেছি। কিন্তু শত চেষ্টা করেও নয়া বন্দোবস্তের নাম নেওয়া কর্তাব্যক্তিদের কাছ থেকে আমাদের মৌলিক কিছু দাবিও পূরণ করতে পারি নাই।
পিএসসি- ইউজিসিসহ নানান জায়গায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে সাইড করে রাখার প্রবণতা এখনো লক্ষ্য করছি। আমার স্পষ্ট বার্তা হলো– ঢাকা ও ঢাবিকেন্দ্রিক ফ্যাসিবাদী মনোভাব থেকে যতদিন না এই দলের অংশীজনরা বেরিয়ে আসতে পারবে, বিকেন্দ্রীকরণের দিকে মনোনিবেশ করবে, ততদিন অবধি আমি তাদের সাথে কোনো ধরনের রাজনৈতিক বোঝাপড়ায় যাবো না। আর তাই আমি উক্ত পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।
এ বিষয়ে বিস্তারিত আগামীকাল (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় পরিবহন চত্বরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সবাইকে অবগত করবো।”আরেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার লিখেছেন, “আমাদের স্ট্যান্ড আমরা গতকাল রাতেই ক্লিয়ার করেছিলাম। আমাদের কাছে শিক্ষার্থীদের পালসটা বেশী গুরুত্বপূর্ণ।
রাবি শিক্ষার্থীরা চাচ্ছেনা এই ঢাবি আধিপত্যবাদের পক্ষে থাকতে। তাই আমরাও চাচ্ছি না। আগামীকাল প্রেস ব্রিফিংয়ে ইনশাআল্লাহ বিস্তারিত জানিয়ে দিবো।”উল্লেখ্য, গতকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে নানা নাটকীয়তার মধ্যে আত্মপ্রকাশ করেন দলটি।