সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতারা।
আজ রবিবার (২৬ মে) বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রেখে প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন, এ স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করে বৈষম্য তৈরি করা হয়েছে। এই স্কিম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও শিক্ষকদের জন্য চরম অমর্যাদাকর। শিক্ষকরা বর্তমান ও নতুন স্কিমের তুলনামূলক একটি চিত্র দেখিয়েছেন। বর্তমান শিক্ষকদের ক্ষেত্রে পেনশন স্কিমে প্রবেশ বাধ্যতামূলক নয়, কেবল নতুনদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, সার্বজনীন পেনশন স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের সাথে আমরা একাত্মতা ঘোষনা করছি। বর্তমান শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধা বিনষ্ট করতেই একটা কুচক্রী মহল তৎপর হয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবি পূরণ না হলে আগামী ২৮ মে সারা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একযোগে সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করবেন। এসময়ের মধ্যে দাবি না মানা হলে আগামী ৪ জুন সারা দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালসমূহের শিক্ষকরা একযোগে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন। আমরা আমাদের ওপর আরোপিত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপনের প্রত্যাহার চাই। অন্যথায় শিক্ষকরা বৃহত্তম আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, আওয়ামীপন্থি ও বিএনপিপন্থী শিক্ষক সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকেরা।
উল্লেখ্য, গত ১৩ই মার্চ ২০২৪ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বর্তমান পেনশন ব্যবস্থা থেকে বের করে সর্বজনীন পেনশন স্কিম এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০২৪ সালের পহেলা জুলাই থেকে এসব প্রতিষ্ঠানে যারা যোগদান করবেন তাদের বাধ্যতামূলকভাবে সার্বজনীন পেনশনের সর্বশেষ স্কিমের আওতাভুক্ত করতে হবে। ফলে আগামী ১ জুলাই এবং তৎপরবর্তীতে নিয়োগপ্রাপ্ত সকলেই এই ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত হবেন। এই স্কিমে বর্তমান ব্যবস্থার মতো অবসরের পর এককালীন অর্থ পাওয়া যাবে না।###