জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কার এবং দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ ও শিক্ষার্থীকে সহায়তাকারী সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলামকে চাকরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সাথে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচ (৫) সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পৃথক চারটি অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫ এর ধারা ১১(১০) মোতাবেক আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান সিদ্দিকি আম্মানকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার এবং দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হলো।
একই আইনে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক দ্বীন ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত ও সহকারী প্রক্টর থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। সেই সাথে গঠন করা হয়েছে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি।
উক্ত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড.জাকির হোসেন, সদস্য হিসেবে আছেন, সামাজিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.আবুল হোসেন, কলা অনুষদের ডিন ড.এস এম মাসুম বিল্লাহ, সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড.ঝুমুর আহমেদ। এতে সদস্য সচিব আছেন, আইন শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার অ্যাডভোকেট রঞ্জন কুমার দাশ।
এর আগে, গতকাল রাত ১০ টার দিকে আইন বিভাগের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের (১৩তম ব্যাচের) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার মৃত্যুতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর চৌধুরী গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন।
এঘটনায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত অনুযায়ী ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হবে।