নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।তবে খাবারের দাম বাড়লেও মানহীন খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যাফেটেরিয়াতে একে খাবারের মান খারাপ আবার অতিরিক্ত দাম রাখা হচ্ছে। এছাড়া ক্যাফেটেরিয়াতে মুরগী ডিম, সবজি ছাড়া তেমন কোনো খাবার আইটেম থাকে না। এই খাবারগুলোও বেশিরভাগ সময়ই খাওয়ার উপযুক্ত থাকে না। তার ওপর কয়েক মাস পরপর খাবারের দাম বাড়ানো মধ্যবিত্ত শিক্ষার্থীদের পেটে লাখি দেয়ার শামিল।
এনিয়ে অভিযোগ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও পোস্ট করেছেন একাধিক শিক্ষার্থী।
দ্রব্যমূল্যে বৃদ্ধির অযুহাত দেখিয়ে এ বছরের জানুয়ারি মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় ডিমের দাম ১০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১৫ টাকা করে পূর্বে বাজারে ডিম ৪৫ টাকা হালি হলেও ডিমের তরকারি বিক্রি হতো ১২টাকায়। কিন্তু বর্তমানে ডিমের হালি ৩৬ টাকা হলেও সেই ডিম প্রতি পিচ শিক্ষার্থীদের খেতে হচ্ছে ১৫ টাকায়। ডিমের পাশাপাশি পোলাও এর দাম বৃদ্ধি করে বিক্রি করা হয় ২০ টাকার পরিবর্তে ২৫ টাকায়।
বর্তমানে ক্যাফেটেরিয়াতে আবারো খাবারের দাম একদফা বৃদ্ধি করা হয়। ক্যাফেটেরিয়াতে ছোট এক পিচ মুরগীর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। যথাক্রমে পাতলা খিচুড়ি, ভাত ও সবজি বিক্রি করা হচ্ছে ১০ টাকা, ১২ টাকা এবং ১৫ টাকা। একই খাবার বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে বিক্রি হচ্ছে ক্যাফেটেরিয়া থেকে কম মূল্যে।
এ বিষয়ে ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক আহমেদ রেজা বলেন, আমরা খাবারের দাম নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো। বাজার মুল্যের জন্য আপাতত দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা সর্বদা চেষ্টা করি কিভাবে খাবারের দাম কম রেখে খাবারের গুনগত মান বৃদ্ধি করা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সারোয়ার হোসেন বলেন, আমরা বাজার পর্যবেক্ষণ করছি খুব দ্রুত সময়ের মাঝে দাম সমন্বয় করা হবে। বাজারে দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতির কারনে দাম বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং খাবারের আইটেম গুলো বৃদ্ধি এবং গুণগত মান নিশ্চিত করা হবে।
রবিউল হাসান
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়