জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে ধর্ষণ ও নিপীড়ন মুক্ত ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার দাবিতে শিক্ষক – শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্লাটফর্ম “নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ ” আগামীকাল তাদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে মশাল মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে।
ধর্ষণ ও নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারী) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে অনুষ্ঠিত নিপীড়ন বিরোধী সংহতি সমাবেশ শেষে এ ঘোষণা দেন অন্যতম সংগঠক ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলি।
তিনি বলেন, সময় বদলেছে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধ, অপকর্মের কমেনি, শিরোনাম বদলায়নি। ১৯৯৮সালের ১৭ই আগস্ট দৈনিক পত্রিকার শিরোনাম হয়েছিল ক্যাডাররা ধর্ষণ করেছে তিন ছাত্রীকে। এ ক্যাডাররা হলো ছাত্রলীগের ক্যাডার। আবার ঠিক এমনই ঘটনা ঘটেছে ক্যাম্পাসে। ঠিক এখানেও জাড়িত শাখা ছাত্রলীগের ক্যাডার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান। এসব ঘটনার দায় ছাত্রলীগ কোনোভাবেই এড়াতে পারেনা।’ আমরা চাই এ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিপীড়নের ইতি ঘটুক। বিশ্ববিদ্যালয়কে ধর্ষণ ও নিপীড়নমুক্ত করতে আমাদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা আগামীকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মশাল মিছিল কর্মসূচি পালন করবো।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের সদস্য সচিব মাহফুজুল ইসলাম মেঘ। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে ধর্ষণ ও নিপীড়নমুক্ত করার জন্যই আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমাদের এ আয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়কে সমস্ত নিপীড়ন, বঞ্চনা ও অপশক্তি থেকে রক্ষা করতে আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
এর আগে গত শনিবার ( ০৩ ফেব্রুয়ারী ) বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার পর পুরো বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ধর্ষণ ও নিপীড়নের সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে ও পুরো ক্যাম্পাসকে নিপীড়মুক্ত করতে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইনকে আহ্বায়ক ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহফুজ ইসলাম মেঘকে সদস্য সচিব করে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত সম্মিলিত প্লাটফর্ম ” নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ “।
রবিউল হাসান
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়