জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন বিয়ের জন্য প্রেমিকাকে ভাগিয়ে নিয়ে এসে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছেন পুলিশ কনস্টেবল।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন নাট্যকার সেলিম আল দীনের কবরের বেদিতে আপত্তিকর অবস্থায় শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিগোচর হলে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় হস্তান্তর করেন করা হয়।
প্রেমিক কন্সটেবলের নাম মো. ইমরুল হাসান শুভ। তার বাবা সুলতান আহমেদ ও মা লাকী সুলতানা।তিনি কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার কালখরপাড় গ্রামের বাসিন্দা,কর্মরত রয়েছেন কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। প্রেমিকা খুলনার বাসিন্দা তিনি খুলনার বাসিন্দা, সাভারের একটি হাসপাতালে নার্স হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, আমরা তাদেরকে সেলিম আল দীন স্যারের কবরের উপর আপত্তিকর অবস্থায় পাই। তখন সে পুলিশের পরিচয় দিয়ে আমাদের উপর চড়াও হয়। তখন আমরা বিশ্বিবদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় তাকে হস্তান্তর করি।
আটককৃত পুলিশ কনস্টেবল ইমরুল সব দোষ স্বীকার করে মুচলেকায় স্বাক্ষর করেন।
আটককৃত রুমানা বলেন, আমরা বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছি বিয়ে করার জন্য এসেছি। আমাদের সম্পর্ক সম্পূর্ণ হালাল। আমি ক্রাউন হাসপাতালে নার্সের কাজ করি। আমাদের দীর্ঘ চার বছরের প্রেম ছিলো, আমরা ক্যম্পাসে আসি ঘুরতে। তখন আমরা না জেনে সেলিম আল দীন স্যারের কবরের এইখানে বসেছিলাম। তখন আমাদের এই অবস্থায় কিছু শিক্ষার্থী এসে জিজ্ঞেসাবাদ করে। তখন ইমরানের সাথে বাকবিতণ্ডা হয় ও আমাদের এইখানে নিয়ে আসে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন বলেন, আমি তাদেরকে সেলিম আল দীন স্যারের কবরের এইখানে তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় পাই। তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে আসছে বিয়ে করার জন্য। কিন্তু তারা ক্যাম্পাসে এসে এরকম আপত্তিকর কাজ করে। আমি মুচলেকা নিয়েছি, তাদেরকে তাদের অভিবাবকের কাছে দিয়ে দিবো। আমি আটককৃত ইমরুল হাসানের এস পি সাথে কথা বলেছি। তারাও তাদের আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে।
রবিউল হাসান
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়