বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আগামী ৩১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করবে।
শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। তবে এই ঘোষণাপত্রের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম নিশ্চিত করেছেন।
খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের জনগণ ১৯৪৭ সালে ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। যদিও ১৯৭২ সালের সংবিধান দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। বিভিন্ন সময়ের মার্শাল ল’ এবং সাংবিধানিক সংশোধনীগুলো রাষ্ট্রকে দুর্বল করেছে এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অবক্ষয় ঘটিয়েছে।
খসড়ায় আরও উল্লেখ রয়েছে, স্বাধীনতা সংগ্রামকে ক্ষমতার অপব্যবহারের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। পিলখানা, শাপলা চত্বর গণহত্যা এবং সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করেছে। ৯ দফা দাবি উপস্থাপনকারী ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে ইন্টারনেট বন্ধসহ কারফিউ জারি করা হয়। তবে জনগণের সম্মিলিত প্রতিরোধ ফ্যাসিবাদবিরোধী একটি ঐক্য সৃষ্টি করেছে। বহু জীবন উৎসর্গ এবং চলমান যন্ত্রণা সত্ত্বেও তারা নিজেদের স্বাধীন ও সার্বভৌম হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।
ঘোষণাপত্রের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
* পার্লামেন্ট বিলুপ্তি।
* শেখ হাসিনার সময়ে নিয়োগপ্রাপ্তদের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা।
* ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন।
* বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত মুক্তি।
* ১৯৭২ সালের সংবিধানের সংস্কার বা বাতিল।
* গুম, খুন এবং গণহত্যার বিচার।
* পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার এবং দোষীদের শাস্তি।
* গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র গঠন এবং বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।
এটি আগামী ৫ আগস্ট ২০২৪ থেকে কার্যকর করার প্রস্তাবও করা হয়েছে সেখানে।
আরইউএস