নাটোরের বড়াইগ্রামে টিসিবির পণ্য বিতরণ নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন এবং ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘটনাটি শনিবার (১৫ মার্চ) বিকালে উপজেলার নগর ইউনিয়নের ধানাইদহ বাজারে ঘটে।
টিসিবির পণ্য বিতরণের সময় ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ সরকার ও তার অনুসারীরা অবিক্রীত পণ্য ভাগাভাগি করে নেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে নগর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্টন হোসেন ও সাবেক ইউপি সদস্য আবুল হোসেন আবু তাদের লোকজনসহ ইউনিয়ন পরিষদে যান। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং পরে লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন আব্দুল্লাহ, রফিকুল ইসলাম, কালু মিয়া, আকাশ, শাহীনুর রহমান, ফরহাদ হোসেন ও মিজানুর রহমান প্রমুখ।
পরে বিকাল ৪টার দিকে মিল্টন হোসেন ও তার লোকজন ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়ে অবস্থান নিলে আসাদ সরকারের অনুসারীরা চাইনিজ কুড়াল, হাসুয়া ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সেখানে হামলা চালায়। এ সময় ৬-৭ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয় এবং ওয়ার্ড বিএনপির অফিসের চেয়ার-টেবিলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয়।
উভয়পক্ষের বক্তব্য:
আসাদ সরকার (৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক) দাবি করেন, তার দলকে আক্রমণ করা হয়েছে এবং ওয়ার্ড বিএনপির অফিস ভাঙচুরের দায় তাদের উপর চাপানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “তারা আমাদের ছেলেদের মেরেছে, আর অফিস ভাঙচুরের দায় আমাদের উপর চাপাচ্ছে।”
মিল্টন হোসেন (নগর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক) বলেন, টিসিবির পণ্য ভাগাভাগির প্রতিবাদ করায় তাদের উপর হামলা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “পুলিশের উপস্থিতিতে সশস্ত্র অবস্থায় তারা অফিসে হামলা চালিয়েছে এবং আমাদের লোকজনকে কুপিয়ে জখম করেছে।”
পুলিশের বক্তব্য:
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি বলেন, “খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত।”
এই ঘটনায় স্থানীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে এবং বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।